আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফাঁকা বাড়িতে যুবককে ডেকেছিলেন যুবতী। তিনি জানিয়েছিলেন, বাড়িতে স্বামী নেই। তাই এই সময়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারবেন তাঁরা। যৌনতার টানে প্রেমিকার বাড়ি যেতেই বিপত্তি। রক্তাক্ত অবস্থায় কোনও মতে পালিয়ে বাড়িতে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। বাড়ি ফিরেই মৃত্যু হল তাঁর। তদন্তে নেমে শিউরে উঠল পুলিশ।‌ ভয়ঙ্কর কাণ্ডটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলায়। ৪৫ বছর বয়সি এক যুবককে মারধর, হেনস্থা ও পিটিয়ে খুনের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃত যুবকের নাম, অনীশ। যদিও তাঁর পরিবার জানিয়েছে, সাত লক্ষ টাকা ঋণের জন্য তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।

অনীশের বাবা মুস্তাকিন পুলিশকে জানিয়েছেন, নৃশংসভাবে যুবককে খুন করা হয়েছে।‌ খুনের আগে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। বাড়িতে ডেকে মারতে মারতে অনীশের হাত, পা ভেঙে দিয়েছিল ওই দম্পতি। প্লায়ার ও স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দেয় তারা। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন অনীশ। তারপর কোনও মতে বাড়িতে পালিয়ে আসেন। 

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর! রাখি পরানোর পর মিষ্টিমুখ, বোনকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে কুপিয়ে খুন, দাদার আরও কীর্তি শুনে শিউরে উঠল পুলিশ

অনীশের খুনের নেপথ্যে কী কারণ? তাঁর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, অনীশের বিয়ের দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছিল। কয়েক বছর আগে প্রতিবেশী দম্পতিকে সাত লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের প্রস্তুতির জন্য সেই ঋণ শোধ করতে বলেন অনীশ। দম্পতির কাছে থেকে সাত লক্ষ টাকা চাইতে যান তিনি। সেই টাকা চাওয়ায়, দম্পতি নির্মমভাবে অত্যাচার করে তাঁকে। তাঁদের বাড়িতেই ভয়ঙ্কর অত্যাচারের শিকার হন তিনি।‌ বাড়িতে পালিয়ে আসলেও শেষরক্ষা হয়নি। নিজের বাড়িতে এসেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

পুলিশ আধিকারিক রাজেশ কুমার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গভীর রাতে অনীশের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল তাঁর পরিবার। একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন অনীশকে বাড়িতে ডেকেছিলেন রাইস আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী সীতারা। 

দম্পতিকে প্রথম জেরার পর পুলিশ জানতে পেরেছে, সীতারার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অনীশ। সেই সম্পর্কের কথাও জানতে পারেন রাইস। এরপর তিনি অনীশকে খুনের পরিকল্পনা করেন। রাইসের পরিকল্পনা জানতে পেরে, তাতে যোগ দেন সীতারাও। এরপর বাড়িতে সীতারা অনীশকে ডাকেন। এও জানান, বাড়িতে রাইস নেই। সেই সুযোগে অনীশ বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সুযোগে অনীশকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দম্পতি। প্লায়ার দিয়ে তাঁকে পেটাতে শুরু করে। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। কিন্তু কী কারণে অনীশকে খুনের পরিকল্পনায় সীতারাম যোগ দিয়েছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত চালাচ্ছে।