আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুনে পৌরসভা নির্বাচন আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। ভোটারদের মন জয়ে প্রচারের সঙ্গেই চলছে ঢালাও প্রতিশ্রুতির বন্যা। তবে এই প্রতিশ্রুতি কোনও উন্নয়নের নয়। বরং ভোটারদের টোপ দিয়ে সেটা বাস্তবে রক্ষা করার প্রতিশ্রতি! ভোটাদের মন জয় করতে বিনামূল্যে বিভিন্ন জিনিস ও উপহারের বিস্ময়কর সব টোপ হাজির করছেন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিরা। টোপের তালিকায় রয়েছে, বিদেশ ভ্রমণ থেকে শুরু করে দামি গাড়ি, গয়না এবং গৃহিণীদের জন্য শাড়িও।
যেমন, লোহগাঁও-ধানোরি ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী 'লাকি ড্র'-এর মাধ্যমে ১১ জন ভোটারকে ১,১০০ বর্গফুট করে জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর জন্য 'রেজিস্ট্রেশন' ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিমান নগর এলাকার একজন প্রার্থী দম্পতিদের জন্য থাইল্যান্ডে পাঁচ দিনের একটি বিলাসবহুল ভ্রমণের প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্যান্য ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা 'লাকি ড্র'-এর মাধ্যমে এসইউভি, দুই চাকার যান এবং সোনার গয়নার দেওয়ার কথা বলে রেখেছেন।
গৃহিণী এবং নারী ভোটারদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার পৈঠানি শাড়ি, উজ্জ্বল রঙ এবং জটিল নকশার হাতে বোনা রেশমি শাড়ি, খাঁটি সোনা বা রুপোর সুতো দিয়ে নকশা করা কাপড়ে ইতিমধ্যেই বিতরণ করা হয়েছে ভোটারদের। সেই সাথে সেলাই মেশিন এবং সাইকেলও দেওয়া হয়েছে।
ক্রীড়ামোদী ভোটারদের জন্য এক লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার-সহ ক্রিকেট লিগের আয়োজন করা হয়েছে, যা প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং নিজেদের আর্থিক শক্তি প্রদর্শনের আকাঙ্ক্ষাকেই তুলে ধরে।
এনডিটিভিকে সূত্রগুলো বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে, শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) দু'টি গোষ্ঠী ১৫ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রথম বৈঠক করেছে।
শরদ পাওয়ার, যার ভাইপো অজিত ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দল ত্যাগ করে বিজেপি এবং একনাথ শিন্ডের শিবসেনার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেথে জোট বাঁধেন। তিনি পুরসভা ভোটে ৪০ থেকে ৪৫টি আসন চান বলে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে আলোচমায় দাবি করেছেন। তবে সমস্যা হল, অজিত পাওয়ার ৩০টির বেশি আসন দিতে রাজি নন।
শরদ পাওয়ার এনসিপির কার্যকরী সভাপতি এবং তাঁর তুতো বোন সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল রাতে অজিত পাওয়ারের পক্ষ থেকে সুভাষ জগতাপ এবং সুনীল টিংরে এবং তার কাকার গোষ্ঠী থেকে বিশাল তাম্বে ও অঙ্কুশ কাকাদের মধ্যে প্রথম দফা আলোচনা হয়।
এদিকে গত বুধবার ঠাকরে পরিবারের দুই তুতো ভাই উদ্ধব এবং রাজ, ২০ বছরের বিবাদ মিটিয়ে ফের জোট বেঁধেছেন। শিবসেনা (ইউবিটি) এবং মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার এই অংশীদারিত্ব বিরোধী 'মহাবিকাশ আঘাড়ি' জোটকে অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই জোটে কংগ্রেস এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপি গোষ্ঠীও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দলটা এই মুহূর্তে শুধুমাত্র এই নির্বাচনের জন্য জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
