আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। একই পরিবারের চার সদস্যের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুই ভাই ও তাঁদের মা-বাবা চারজনই নিজেকে শেষ করেছেন। কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, মুগাট রেল স্টেশনের কাছে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে দুই ভাই আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁদের নাম বজরং রমেশ লাখে (২২) এবং উমেশ রমেশ লাখে (২৫)। অন্যদিকে, জওলা মুরার গ্রামে তাঁদের নিজেদের বাড়ি থেকে বাবা ও মায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত দম্পতির নাম রমেশ হোনাজি লাখে (৫১) ও রাধাবাই রমেশ লাখে (৪৪)। মুদখেদ তহশিলের এই ঘটনায় গোটা গ্রাম স্তম্ভিত।

ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাবা-মা আত্মহত্যা করেছেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভবে মনে করা হচ্ছে, আর্থিক অনটনের কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত। তবে পুলিশ এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলছে না।

লাখে পরিবারে এই চারজনই ছিলেন। এই ঘটনায় পুরো পরিবারটিই শেষ হয়ে গেল। উমেশ লাখে এলাকায় সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি এমএনএস-এর প্রাক্তন স্থানীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। ফলে তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বেশি অবাক হয়েছেন।
খবর পেয়েই পুলিশ এবং ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। এটি আত্মহত্যা কি না, তা নিশ্চিত হতে পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।

অন্যদিকে, কেরলের কান্নুরে পারিবারিক কলহের জেরে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। একই পরিবারের চার জন সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। মৃতেরা হলেন ৩৬ বছর বয়সি কালাধরন, তাঁর মা ঊষা (৫৬) এবং কালাধরনের দুই সন্তান- ছয় বছরের হিমা ও দুই বছরের কান্নান।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুই শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে খুনের পর মা ও ছেলে নিজেরাও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসছে পরিবারের ভিতরের দ্বন্দ্ব। পুলিশ জানিয়েছে, কালাধরনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর আইনি লড়াই চলছিল। সম্প্রতি আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে, সন্তানদের মায়ের হাতে তুলে দিতে হবে। এই নির্দেশের পরেই স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল।

মৃত ঊষার স্বামী তথা পেশায় অটোচালক উন্নিকৃষ্ণন জানান, সোমবার রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে তিনি বারান্দায় একটি সুইসাইড নোট পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত সেটি নিয়ে তিনি থানায় যান। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহগুলি উদ্ধার করে।

জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবারই শিশুদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো পুলিশও আগেভাগে উন্নিকৃষ্ণনকে ফোন করে নির্দেশ দিয়েছিল। কান্নুর গ্রামীণ পুলিশের সুপার অনুজ পালিওয়ালের নেতৃত্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুরো ঘটনায় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ৷