আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর টার্মিনালের কাছে দৌড়তে বেরিয়ে পথকুকুরের কামড় খেলেন এক ওয়েলশ উদ্যোগপতি, অলিভ জোন্স। ঘটনাটি ঘটেছে পুরনো বিমানবন্দর টার্মিনালের প্রবেশদ্বারের কাছে। খবর অনুযায়ী সেখানে তিনি নিয়মিত দৌড়তে যান। এই ঘটনা জানাজানি হতে উত্তপ্ত নেটপাড়া।
জোন্স এই ঘটনাটি বিস্তারিত প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ জানিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি (ব্যাঙ্গাত্মক সুরে) লেখেন, “আমি পথকুকুর ভালোবাসি। বিশেষত সেইসব কুকুরকে, যারা বেঙ্গালুরুতে আমার সঙ্গে দৌড়ে যোগ দেয়। যাক, অন্তত র্যাবিস (জলাতঙ্ক) টিকার দাম মাত্র ৩৫০ টাকা।"
এই ঘটনার পরে জোন্সকে জলাতঙ্ক এবং টিটেনাসের টিকা নিতে হয়েছে। আগামী মাসে তাঁর আরও চিকিৎসা চলবে।
নিজের পোস্টে জোন্স জানিয়েছেন, তিনি সাধারণত ওই পুরনো টার্মিনাল এলাকাতেই দৌড়তে অভ্যস্ত। এই ধরনের ঘটনার পরেও কেন তিনি ভারত ছাড়ছেন না, এমন প্রশ্নের উত্তরে জোন্স লিখেছেন, “যাঁরা আমায় প্রশ্ন করছেন কেন আমি ভারত ছাড়ি না, তাঁদের বলি আমি ছাড়ব না। কারণ আমি একটি বিশ্বাসে দৃঢ়, এবং তার জন্য আমি শেষ পর্যন্ত যেতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও লেখেন, “কখনও তার জন্য কুকুরের কামড় খেতে হয়, দূর থেকে বাবা-মায়ের বার্ধক্য দেখতে হয়, মাত্র ৩০০ ডলার হাতে করে নতুন দেশে পা রাখতে হয়, পায়রার সঙ্গে এক বিছানায় শুতে হয়। কিন্তু তবুও আমি এখানে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের দু’টি স্টার্টআপ তৈরি করেছি।"
তাঁর এই পোস্টটি ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে। এত বাধার পরেও ভারতে থেকে যাওয়ার এই মানসিকতা ও অধ্যাবসায়ের প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
তবে এই ঘটনা বেঙ্গালুরুর পথকুকুর সমস্যাকেও ফের একবার উস্কে দিয়েছে। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আসলে, কমার্শিয়াল স্ট্রিট সিগন্যালের কাছে একদল পথকুকুর প্রতিদিন সকালে দৌড়নোর সময় আমায় তাড়া করে। কুকুরগুলো খুব আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।”
আর এক জন ব্যবহারকারী একই ধরনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, "আজই জেপি নগরের একটি রেস্তরাঁ থেকে বাইকে বেরোনোর সময় কয়েকটা কুকুর আমায় তাড়া করে। কোনওক্রমে রক্ষা পেয়েছি।"
তৃতীয় এক জন লিখেছেন, “ইশ! আপনার কামড় খাওয়ার খবর শুনে খারাপ লাগছে। আমাদের শহরাঞ্চলের পথকুকুরদের নিয়ে সত্যিই কিছু একটা করা দরকার।"
