আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভরা মেট্রো স্টেশন। ট্রেনের অপেক্ষায় তখন প্ল্যাটফর্মে যাত্রীরা। আর পাঁচজনের সঙ্গেই সেখানে দাঁড়িয়ে এক যুগল। সকলের সামনেই কোনও ভ্রুক্ষেপ ছাড়াই শরীরী খেলায় মাতলেন ওই যুগল! যা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এরপরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেটিজেনরা। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর মাদাভারা মেট্রো স্টেশনের।
'কর্নাটক পোর্টফোলিও' নামে এক্স ব্যবহারকারীর তরফে ওই ভাইরাল ভিডিও ক্লিপটি শেয়ার করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "বেঙ্গালুরু কি দিল্লি মেট্রো সংস্কৃতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? নাম্মা মেট্রো স্টেশনে জনসাধারণের বিরক্তিকর আচরণ বেঙ্গালুরুতে শালীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।"
আরও লেখা হয়েছে যে, "পাবলিক জায়গায় কিছু ব্যক্তি যে ধরনের আচরণ তা দেখে অত্যন্ত হতাশাজনক এবং উদ্বেগজনক। মাদাভারার কাছে নাম্মা মেট্রো স্টেশনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা অনেককে হতবাক এবং অস্বস্তিতে ফেলেছে। এক যুবককে তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে অত্যন্ত অনুপযুক্ত আচরণ করতে দেখা গিয়েছে... বিশেষ করে মেট্রো স্টেশনের মতো একটি পাবলিক জায়গায় এই ধরনের কাজ সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।"
এছাড়াও লেখা রয়েছে, "পাবলিক জায়গা সকলের জন্য। এটাকে ব্যক্তিগত স্থান ভাবা অসম্মানজনক এবং লজ্জাজনক। কিন্তু কিছু জনগন সেটাই ভেবে নিয়েছে। তাঁরা লজ্জা এবং শালীনতার ক্রমবর্ধমান অভাবকে প্রতিফলিত করে। তাঁদের আচরণ আশেপাশের মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।"
ভারাল ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এক তরুণী দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর পরনে সাদা রঙের টি-শার্ট ও মানানসই ট্রাউজার। তাঁর ঠিক পিছনদিক ঘেঁসে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক যুবক। ওই যুবক ধীরে ধীরে তরুণীর টি-শার্টের ভিতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দেন। তরুণী স্পষ্ট বুঝতে পারছেন ওই যুবক কী করছেন। কিন্তু চুপ করে রয়েছেন তরুণী, যুবকের স্পর্শ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন তিনি, যা ভিডিও-তেই ধরা পড়া তরুণীর অভিব্যক্তিতেই স্পষ্ট। তবে আজকাল.ইন সেই ভাইরাল ভিডিওটি যাচাই করেনি।
बेंगलुरु मेट्रो स्टेशन
— Voice of Humanity (Sacchai ki Awaaz) (@Tarique03988947)
वायरल वीडियो: जोड़े ने की
प्लेटफॉर्म पर अश्लील हरकत. ????#meradeshbadalrahahai pic.twitter.com/VNPgZk4fEfTweet by @Tarique03988947
এঅই ভিডিও দেখে রাগে অগ্নিশর্মা নেটিজেনরা। একজনের প্রশ্ন, "আমরা কি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই ধরনের উদাহরণ তৈরি করছি?" আরেকজন লিখেছেন, "জনসাধারণের স্থানে অশ্লীল আচরণের বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইন প্রয়োগ করা উচিত।" অন্যএকজন লিখেছেন, "আপনি যদি সত্যিই বিশ্বাস করতেন যে দম্পতির কাজগুলি অনুপযুক্ত বা অগ্রহণযোগ্য ছিল, তাহলে সঠিক পদক্ষেপ ছিল ঘটনাস্থলে হস্তক্ষেপ করা অথবা যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করা।"
নেটিজেনদের একাংশ অবশ্য যুগলের আচরণ চিত্রগ্রহণ এবং শেয়ার করার বিষয়েও নীতিগত প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। লিখেছেন, "আপনি যদি কারও এলোমেলো ক্লিপ আপলোড করেন এবং ধরে নেন যে এটি উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কাজটি করাই কেবল নীতিগত! তিনি সর্বদা আসল ভিডিওটি সরবরাহ করতে পারেন এবং প্রয়োজনে আইনত এটিকে রাজি করতে পারেন! তাদের প্রকাশ্যে নিন্দা করা অন্যায্য! নীতি পুলিশগিরি করা সঠিক কাজ নয়!"
মেট্রোর স্টেশনে যুগলের আচরণ ঘিরে আগেও বিতর্ক হয়েছে। গত বছরের শুরুতে, কলকাতার কালীঘাট মেট্রো স্টেশন প্ল্যাটফর্মে এক দম্পতির চুম্বনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিওটি সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বিতর্কে ইন্ধন জোগায়। বহু মানুষ শালীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই ধরনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলি ব্যক্তিগত থাকা উচিত বলে মত তাদের। অনেকে আবার যুক্তি দিয়েছিলেন যে, প্রকাশ্যে স্নেহ প্রদর্শন ক্ষতিকারক নয় এবং নিন্দা করা উচিত নয়।
