আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতারণা যে কত প্রকার হতে পারে। তার হয়ত হিসাব করা মুশকিল। অনলাইনে কতরকমভাবে যে প্রতারণা হয়ে চলেছে তার নমুনা জানলে চোখ কপালে উঠবে। এরকমই একটা ঘটনা শুনুন।
ভোলা প্রসাদ নামে জনৈক এক ব্যক্তি একদিন মোবাইলে ফেসবুকে একটি বাঁদরকে দেখতে পান। বেশ চমকে গিয়েছিলেন তিনি। নিচে লেখা ছিল, কম সময়ে বেশি আয় করতে চান। তাহলে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করুন।
এরপরই বঁাদরের উপর ক্লিক করলে একটি সাইট ওপেন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয়ে যায় গ্রুপে মেসেজের পর মেসেজ। সব মেসেজের মোদ্দা কথা একটাই। কীভাবে দ্রুত টাকা রোজগার করবেন। গ্রুপে একটি ইনভেস্টমেন্ট অ্যাপের লিঙ্ক ছিল। যেখানে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের উপর জোর দেওয়া হচ্ছিল।
এরপরই ওই অ্যাপটি ডাউনলোড করেন তিনি। এরপর তিনি ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। কিছুদিন পর রিটার্ন পান ২০ হাজার। এরপর ২০ হাজার বিনিয়োগ করে পান ৫০ হাজার। এরপর লাখের খেলায় মাততে থাকেন তিনি। এবারই আসল খেলা। ব্রোকারেজ ফিস দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনি দিয়ে দেন। কিন্তু লাভের টাকা আর পাননি।
নিজের সমস্যার কথা গ্রুপে জানালেও কোনও সুরাহা মেলেনি। এরপর আচমকাই একদিন ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও অ্যাপটি হাওয়া হয়ে যায়। মাথায় হাত পড়ে ভোলাপ্রসাদের। বুঝতে পারেন অনলাইন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। এরকম বহু মানুষ আছেন যারা প্রতিদিন অনলাইন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
কখনও ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে জালিয়াতি, কখনও ব্যাঙ্ক ডিটেলস জেনে নিয়ে প্রতারণা। ২০১৯ থেকে ২০২২ অবধি অনলাইনে মানুষ টাকা খুইয়েছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
অনলাইনে এরকম নানা স্ক্যাম রয়েছে। ইনভেস্টমেন্ট প্রতারণা, অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে প্রতারণা, কিউআর কোড প্রতারণা, অনলাইনে চাকরির ফাঁদে ফেলে প্রতারণা। এটিএম কার্ড সংক্রান্ত প্রতারণা তো আছেই।
অনলাইনে প্রতারণার কত রকম ধরণ। না জানলে নিজেরাই পড়বেন মুশকিলে। তাই সময় থাকতে জেনে নিন।
