আজকাল ওয়েবডেস্ক: গণবিবাহের আসর বসেছিল কলেজের মধ্যে। ৩০০ পাত্র-পাত্রী উপস্থিত ছিলেন সেখানে। পরিবারের উপস্থিতিতে সকলেই প্রস্তুত নতুন অধ্যায় শুরুর জন্য। আচমকা চিৎকার, চেঁচামেচিতে হুলস্থুল কাণ্ড। গণবিবাহের আসরে হাজির কয়েকজন বাইরের লোকজন। এসেই এক যুবতীর বিয়ে ভাঙার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। কারণ? ওই যুবতী শ্বশুরবাড়ির কাউকে না জানিয়েই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছিলেন। তাও আবার নিজের তুতো ভাইয়ের সঙ্গে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাসানপুরে। সরকারের তরফে এই গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বিয়ের আসরে পৌঁছে আসমা নামের এক যুবতীর বিয়ে ভাঙেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। প্রশাসনকে তাঁরা জানিয়েছেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে এখনও বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার আগেই লুকিয়ে লুকিয়ে দ্বিতীয়বার করতে যাচ্ছিলেন তিনি। 

এদিকে আসমাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তুতো ভাই জাভেদকে বিয়ের করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সরকারের থেকে ৩৫ হাজার টাকা এবং উপহার নিতেই বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে দু'জনে মিলে মোষ কিনবেন বলেও ঠিক করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল, সরকারের তরফে পাওয়া ডিনার সেট, পোশাক, ভ্যানিটি কিট, ঘড়ি, রুপোর আংটি, নুপুর, লাঞ্চ বক্স নিজের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেবেন। 

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, তিনবছর আগে আসমা প্রথমবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামীর সঙ্গে অশান্তির কারণে বাপের বাড়িতে চলে যান। গণবিবাহের আসরে আসমার বিয়ের সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আসমার ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।