আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুই শিক্ষককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতির একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, পুরো ঘটনার ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা নিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেলও করা হয়। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘিরে হুলুস্থুল রাজ্যজুড়ে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওড়িশার বাসিন্দা। ২৭ বছর বয়সী ওই ছাত্রী বি.এড. পড়ুয়া। তিনি জানান, অধ্যাপক ডঃ লক্ষ্মণ কুমার তাঁর ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে তাঁকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতন করেন। ছাত্রীর আরও অভিযোগ, সেই সময় আরেক অধ্যাপক ডঃ এ শেখর রেড্ডি পুরো ঘটনার ছবি তোলেন। পরে রেড্ডি সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে ক্রমাগত ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন।
নির্যাতিতা এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হেনস্থা বিরোধী কমিটির কাছে প্রাথমিক অভিযোগ জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক রজনীকান্ত শুক্লা গত ৬ ডিসেম্বর পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন।
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে এই মামলায় ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। তারা ভারতীয় ন্যায় সংবিধানের বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে। পুলিশের একটি বিশেষ টিম ওড়িশায় গিয়ে ছাত্রীর বয়ান রেকর্ড করে। একইসঙ্গে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে তারা৷
এই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত শিক্ষক, লক্ষ্মণ কুমার এবং শেখর রেড্ডিকে গত ৯ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের আদালতে তোলা হয়। খবর অনুযায়ী, গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের সাসপেন্ড করে দিয়েছে।
তিরুপতির ডেপুটি এসপি (পুলিশ সুপার) ভক্তবৎসলম জানিয়েছেন, মহিলাদের এহেন হেনস্থার ঘটনায় পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ করবে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করেছেন, এমন কোনও ঘটনা ঘটলে যেন তারা ভয় না পেয়ে রিপোর্ট করে। পাশাপাশি পুলিশ নিশ্চিত করেছে, অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।
