আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ত্রিপুরায়। ত্রিপুরার ধলাই জেলার ঘটনা এটি৷ খবর মারফত জানা গিয়েছে কামালপুর গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অধ্যাপকের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাওয়া মাত্রই ভিডিও মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল। এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত অধ্যাপক এক ছাত্রীর সঙ্গে কলেজের ল্যাবরেটরির ভেতরে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছেন৷ এই ঘটনা ঘিরে ত্রিপুরাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে৷

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর রাজ্যজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে বলে জানা গিয়েছে। 

অভিযুক্ত অধ্যাপকের নাম ডঃ শান্তনু মজুমদার। তিনি ত্রিপুরারই বাসিন্দা৷ কামালপুর গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজের রসায়নের শিক্ষক। খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ভিডিওতে অধ্যাপককে এক ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর নিজেরই কলেজের ল্যাবরেটরি রুমে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এহেন আচরণ কলেজ ক্যাম্পাসে শালীনতা ও নৈতিকতার চরম পরিপন্থী।

আরও পড়ুনঃ 'সুখ দিতে পারো না বেঁচে থেকে লাভ কী?' শরীরী খিদে মেটাতে ব্যর্থ স্বামীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন স্ত্রী

সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ত্রিপুরা রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জারি করা এক সরকারি আদেশে বলা হয়, অধ্যাপক নিজেই স্বীকার করেছেন যে এ ধরণের আচরণ করা তাঁর অত্যন্ত 'ভুল' ছিল। শিক্ষা দপ্তর বলেছে, এই ধরণের অশালীন আচরণ কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠানটির পবিত্রতা, মর্যাদা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। একইসঙ্গে শিক্ষকতার পেশাকে কলুষিত করেছে।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উক্ত আদেশটি জারি করেন উচ্চশিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল এইচ. কুমার। আদেশে বলা হয়, ভাইরাল ভিডিও ও কলেজের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা কমিটির প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জেরে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে দপ্তরে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুনঃ খাবারের ভেতর পোকা কিলবিল করছে! বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে যা ঘটল তাতে চক্ষু চড়ক গাছ সবার

বর্তমানে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ডঃ শান্তনু মজুমদারকে কলেজ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর এই  বরখাস্তকালীন সময় তাঁকে দক্ষিণ ত্রিপুরার বেলোনিয়ায় অবস্থিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কলেজে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তাঁর ওপর আরও একটি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানা যায়৷ অভিযুক্ত অধ্যাপক শিক্ষা দপ্তরের পূর্বানুমতি ছাড়া বেলোনিয়া ছাড়তে পারবেন না।

আরও পড়ুনঃ 'হৃদয় দাও,কিন্তু ওটিপি নয়'! জালিয়াতি রুখতে উত্তর প্রদেশ পুলিশের অভিনব বার্তা, ভিডিও ভাইরালে উত্তাল নেটপাড়া

এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষকতার মতো একটি দায়িত্বশীল পেশায় থেকে একজন অধ্যাপকের এহেন আচরণ সমাজে গভীর প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।