আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোয়া মানেই মনোরম পরিবেশ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও মনের মানুষ বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে উদ্দামতা। কিন্তু, বান্ধবীর সঙ্গে সৈকত শহরে গিয়ে যে এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি যুবক। রীতিমতো মারধরের শিকার ওই যুবক। কোনোমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরেই সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
সম্প্রতি বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে গোয়ায় গিয়েছিলেন যুবক। রেডিট পোস্টে ওই যুবকের অভিজ্ঞতা বর্ণনা আকারে তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন য়ে, 'আমার বান্ধবীকে নিয়ে গোয়া গিয়েছিলাম। গরম থেকে বাঁচতে স্কুটির বদলে গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। ফেরার পথে আমি বান্ধবীকে বিমানবন্দরে নামিয়ে ট্রেন ধরার জন্য মারগাঁও স্টেশনের দিকে রওনা দিই। পথে স্থানীয় দুই বাইক আরোহীকে টপকে যাই। যদিও আমার গাড়ি তাদের বাইককে স্পর্শও করেনি। তা সত্ত্বেও দু'জন আমার গাড়ি ধাওয়া করে। মাঝরাস্তায় আমার গাড়ি থামিয়ে দেয়। গাড়ির কাচ না খুললে ইট দিয়ে কাচ ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেয়!'
যুবকের দেওয়া বিবরণ অনুসারে, 'আমি জানালা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সে আমাকে সোজা ঘুষি মারে। স্কুটি চালকদের সঙ্গে থাকা অন্য বন্ধুটি দাঁড়িয়ে ছিল এবং দু'জনেই আমাকে বহিরাগত বলে গালমন্দ করছিল। পরে কিল-চড়-ঘুসি মারে তারা।'
ওই যুবকের দাবি, শেষমেশ স্থানীয় কয়েকজন এসে তাঁকে ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন। তবে শহর ছাড়ার আগে এমন ভয়ংকর অভিজ্ঞতায় স্তম্ভিত তিনি। এই কারণেই আর তিনি গোয়া ঘুরতে যাবেন না।
এই ঘটনার পর অভিযোগকারী যুবক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে কিনা তা জানা যায়নি।
যুবকের পোস্ট দেখে অনেকেই গোয়ায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, "আমি হতবাক। কলেজের দিন থেকেই আমি গোয়াকে ভালোবাসি। আমি প্রতি দুই বছরে একবার সেখানে যাই। শেষবার আমি ২০২৩ সালে গিয়েছিলাম এবং সেই যাওয়া অনেক মজার ছিল। তারপর থেকে কি পরিস্থিতি এত খারাপ হয়ে গিয়েছে? অনলাইনে গোয়া সম্পর্কে আমি যা শুনেছি তা দেখে মনে হচ্ছে না আমি আর সেখানে যাব।"
আরেক জনের মন্তব্যে, "জনতার বিচার এবং সতর্কতা দেশের নতুন সংস্কৃতি। এতে অভ্যস্ত হয়ে যান...এটি কেবল গোয়ার প্রশ্ন নয়, এটি পুরো দেশের নতুন সংস্কৃতি এবং নতুন নিয়ম।" কয়েকজন ব্যবহারকারী দাবি করেছেন যে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ঘুরতে গিয়ে তাঁদের একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে।
