আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরু গণধর্ষণের শিকার বাংলার এক তরুণী। গণধর্ষণের পরেও শান্তি হয়নি। এরপর ওই তরুণীর বাড়ি থেকে সর্বস্ব লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তিনজনকে আটক করে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। আরও দু'জনের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর গঙ্গোন্দাহাল্লিতে। বাংলার এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাঁচজনের বিরুদ্ধে। গণধর্ষণের পর তরুণীর বাড়ির সর্বস্ব লুটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা বেজে ১৫ মিনিট থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণধর্ষণ ও চুরির ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই বাড়িতে ছ'জন বাসিন্দা ছিলেন। রাতে ওই পাঁচ যুবক দরজা ধাক্কাধাক্কি করে, তা খোলার জন্য হুমকি দেয়। এরপর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ নির্যাতিতার বড় ছেলে পুলিশে ফোন করে অভিযোগ জানায়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশ আধিকারিক সিকে বাবা জানিয়েছেন, গণধর্ষণের পর অভিযুক্তরা ওই বাড়ি থেকে দু'টি দামি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। নির্যাতিতা তরুণী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এই এলাকায় তিনি আরও দু'জন মহিলা, দু'জন বয়স্ক ব্যক্তি ও দু'জন শিশুর সঙ্গে থাকতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ অভিযুক্ত ওই এলাকার বাসিন্দা। নির্যাতিতা তরুণী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। অভিযুক্তদের সঙ্গে নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কার্তিক, গ্লেন, সুয়োগ নামের তিন অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্ত ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। গণধর্ষণ ও চুরির মামলা রুজু করে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার ভোলবদল! ঝেঁপে বৃষ্টি নামবে ৭ জেলায়, টানা চারদিন বৃষ্টিতে নাজেহাল হবে বাংলা!
প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর আরও একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। মধ্যরাতে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার ৫০ বছরের এক বিধবা প্রৌঢ়া। গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব পরিচিতদের বিরুদ্ধেই। ঘটনার এক সপ্তাহ পর আসল ঘটনা প্রকাশ্যে এল। ২৪ ঘণ্টায় লাগাতার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটে। পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের গির সোমনাথ জেলার উনা শহরে। ৫০ বছর বয়সি এক বিধবা প্রৌঢ়া গণধর্ষণের শিকার হন। ২৪ ঘণ্টায় লাগাতার তিন যুবকের যৌন লালসার শিকার হন তিনি। তিন অভিযুক্তই পেশায় মৎস্যজীবী। বুধবার তিন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার অসহ্য পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বিধবা প্রৌঢ়া। তাঁর পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকদের জানান, গত সপ্তাহে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন সম্প্রতি। সেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা এরপর পুলিশে বিষয়টি জানান। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
নির্যাতিতা সেদিন নববন্দর মেরিন থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তিনজনের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, দশ বছর আগে প্রৌঢ়ার স্বামী মারা যান। তারপর থেকে একাই রোজগার করে সংসার চালান। শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি।
পুলিশকে নির্যাতিতা প্রৌঢ়া জানান, এক সপ্তাহ আগে মান্ডভি চেকপোস্ট থেকে গ্রামের দিকে ফিরছিলেন। রাতে কোনও যানবাহন পাননি। তখনই ওই তিন অভিযুক্ত বাইকে করে যাচ্ছিল। প্রৌঢ়ার সামনে বাইক নিয়ে পথ আটকায় তারা। তিনজনেই নির্যাতিতার পূর্ব পরিচিত ছিল। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিতেই প্রৌঢ়া রাজি হয়ে যান।
বাইকে চড়ার পর খানিকটা যাওয়ার পরেই প্রৌঢ়াকে নিয়ে তিন যুবক নির্জন একটি জায়গায় চলে যায়। সেখানে প্রথমে তিনজনে ধর্ষণ করে তাঁকে। এরপর এক অভিযুক্তের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবারও গণধর্ষণ করে প্রৌঢ়াকে। পরদিন বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার পরেও ক্রমাগত হুমকি দেয়। বিষয়টি বাইরে ফাঁস করলেই আবারও ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল প্রৌঢ়াকে।
