আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের রাজনীতিতে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সাম্প্রতিক সময়ে। রাজনীতিতে জোর চর্চা তাঁকে ঘিরেই। তাহলে কি বিরোধী জোটের আগামী লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী মুখ তিনিই। বিহারের ভোটাধিকার যাত্রা থেকেই কি তবে প্রকাশ্যে এল ইন্ডিয়া জোটের নয়া সমীকরণ? তথ্য কি সময়ের আগেই ফাঁস করে ফেললেন লালু-পুত্র?
মঙ্গলবার রাজনীতির অলিন্দে প্রশ্ন ছড়াচ্ছে। কারণ? কারণ আরজেডি নেতা, তেজস্বী যাদব, মঙ্গলবার নওয়াদায় রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, 'আগামী লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য একজোট হয়ে কাজ করব।' রাহুল কী বললেন একথা শুনে? বললেন না কিছুই। কেবল হাসলেন। সৌজন্যমূলক হাসি। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর তেমনটাই।
আরও পড়ুন: মোদির আবেদন নাকচ, উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী ঘোষণা করল 'ইন্ডিয়া' জোট, রাধাকৃষ্ণণের প্রতিপক্ষ কে?
ওই কয়েক সেকেন্ডের ঘটনা নিয়েই এখন দেশের রাজনীতিতে জোর চর্চা। কী বলেছেন তেজস্বী যাদব? তিনি এদিন বলেন, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন সরকার 'খট্টারা' হয়ে গেছে এবং এটিকে জরুরিভাবে প্রতিস্থাপন করা দরকার। তরুণদের এখন সুযোগ পাওয়া উচিত। বিহারের জন্য আমাদের একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তরুণরা সংকল্প নিয়েছে যে তারা এই পুরনো এবং সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে এবং পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের পরে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিশ্চিত করবে।'
উল্লেখ্য, বিহারের ২৫টি জেলা জুড়ে ভোটাধিকার যাত্রা করবেন রাহুল। এর আগেই তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছেন। অভিযোগ ভোট চুরির। তথ্য-সহ প্রমাণ দেখিয়েছেন। তাঁর ঘণ্টাখানেকের বক্তব্যে একেবারে শোরগোল দেশের রাজনীতিতে। ১৩ আগস্ট তিনি দাবি করেন, বিহারের খসড়া তালিকায় উল্লিখিত মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে বসেছিলেন চা চক্রে।
কী রকম বিষয়টা? দিনকয়েক আগেই বিহারে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ৬৫ লক্ষ মানুষ বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে। তাদের মধ্যে ২২ লক্ষের বেশি ভোটার মৃত, তথ্য তেমনটাই। ওই মৃত ভোটার তালিকার কয়েকজন, অর্থাৎ যাঁরা মৃত হিসেবে ঘোষিত, তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে চা-চক্রে বসেছিলেন কংগ্রেস নেতা। নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন রাহুল। তাতে লিখেছেন, জীবনের নানা মজার এবং অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার মধ্যে এটি অন্যতম। কারণ এর আগে মৃত ভোটারদের সঙ্গে চা খাওয়ার সুযোগ হয়নি তাঁর। তিনি নির্বাচন কমিশনকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই কারণে।
একইসঙ্গে উল্লেখ্য, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী বুধবার (১৩ আগস্ট) পুনের বিশেষ এমপি/এমএলএ আদালতে দাবি করেন, তিনি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পদক্ষেপের পর থেকে প্রাণনাশের হুমকির মুখে রয়েছেন। বিশেষত, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানির মামলা যিনি দায়ের করেছেন সেই সত্যকি সাভারকরের পারিবারিক বংশপরিচয়কে কেন্দ্র করেই এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আইন সংক্রান্ত ওয়েবপোর্টাল বার অ্যান্ড বেঞ্চ-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, রাহুল গান্ধী আদালতে বলেন, মামলার ন্যায্যতা ও নিজস্ব নিরাপত্তা— দুই'ই গুরুতরভাবে বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তিনি মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের কাছে “প্রতিরোধমূলক সুরক্ষা” (Preventive Protection) প্রদানের আবেদন করেছেন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী মিলিন্দ দত্তাত্রেয় পাওয়ারের মাধ্যমে দাখিল করা আবেদনে বলা হয়, “প্রতিরোধমূলক সুরক্ষা প্রদান শুধু বুদ্ধিমানের কাজ নয়, বরং এটি রাজ্যের সাংবিধানিক দায়িত্ব।” আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, মামলার ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও সততা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।
