আজকাল ওয়েবডেস্ক: অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। স্কুলে মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। প্রিন্সিপ্যালকে 'সরি' বলেও, ক্ষমা মেলেনি, অভিযোগ উলটে হুমকি মিলেছিল। ভয়ে, স্কুলের রেলিং থেকে ঝাঁপ অষ্টম শ্রেণির, জাতীয় স্তরে স্কেটিং খেলা পড়ুয়ার। ঘটনায় ক্ষোভ, চাঞ্চল্য।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের রতলামের ডোংরে নগরে এক বেসরকারি স্কুলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ওই পড়ুয়া বেসরকারি স্কুলের চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নিকটবর্তী এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য, ওই পড়ুয়ার অবস্থা স্থিতিশীল।
ঠিক কী ঘটেছে? স্কুল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ওই পড়ুয়া নিজের মোবাইল ফোন স্কুলে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, স্কুলের তরফে তথ্য, পড়ুয়া একটি ক্লাসরুম ভিডিও রেকর্ড করেছিল, যা পরে সে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে। ভিডিওটি স্কুল প্রশাসনের নজরে আসে। শুক্রবার তার বাবা-মাকে স্কুলের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা করার জন্য ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে, যা এখন তদন্তের অংশ, তাতে কী দেখা গিয়েছে? স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ওই সিসিটিভি ফটেজে দেখা গিয়েছে, ১৩ বছর বয়সী ছেলেটি সদকুলের অধ্যক্ষ্যের অফিসে প্রবেশ করে। ভিতরে, সে প্রায় চার মিনিট ধরে বারবার তার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছে, ভয় এবং হতাশায় ৫২ বার "সরি" বলেছে।
ছেলেটি পরে জানিয়েছে, বারবার ক্ষমাপ্রার্থনা করে কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ, ক্ষমার বদলে, উলটে তিনি পড়ুয়ার পদক কেড়ে নেওয়ার, বরখাস্ত করার এবং কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। স্কেটিংয়ে তার কৃতিত্বের জন্য ইতিমধ্যেই পরিচিত ওই পড়ুয়া। দুবার জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করেছে। তথ্য, প্রিন্সিপ্যালের ঘর থেকে বেরিয়ে আচমকা ওই পড়ুয়া চারতলা থেকে ঝাঁপ দেয়। তখন ওই পড়ুয়ার বাবা, স্কুলের কাছেই ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, স্কুল থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁদের, ছেলের বিষয়ে কথা বলার জন্য। তিনি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রথমে স্কুল থেকে একটি ফোন করে দেখা করার কথা বলা হলেও, তিনি স্কুলের কাছাকাছি পৌঁছনোর পর, আচমকা তাঁকে স্কুল থেকেই ফের ফোন করে সোজা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।
এসডিএম আর্চি হারিত সংবাদ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন, শিশুটি স্কুলে ফোন এনেছিল, যা স্কুলের নীতি লঙ্ঘন করে। তনে পরে আচমকা পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নেয়, তা কারও ধারণতেও ছিল না, সম্পুর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। স্কুল জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ছেলেটির বাবার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। তবে, ছেলেটির বারবার ক্ষমা চাওয়া এবং চরম প্রতিক্রিয়া-সহ দ্রুত ঘটনাবলী পরপর যেভাবে ঘটেছে তাতে প্রশ্ন উঠছে একাধিক।
