আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্ষমাপ্রার্থীনার পর বড় ঘোষণা করলেন ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওলার্স জানিয়েছেন, পরিষেবা আগামী ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংকট সমাধানে এই সময় লাগবে বলে মত ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশজুড়ে এক হাজারেরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সের ইঙ্গিত, গত তিন দিনের মতো শনিবারও যাত্রীর জন্য খারাপ খবর অপেক্ষা করছে। কারণ উড়ানের সংকট অব্যাহত থাকবে, তবে বাতিলের সংখ্যা এক হাজারের নীচে নেমে আসবে। 

শুক্রবারও দেশের প্রায় সমস্ত প্রান্তের সব অন্তর্দেশীয় বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। যার ফলে বিমানবন্দরগুলিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে উড়ান সংক্রান্ত নয়া নিয়ম আংশিক প্রত্যাহার করে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন অসামরিক বিমান চলাচল নিয়ামক সংস্থা (ডিজিসিএ)। গত নভেম্বরে নয়া নির্দেশিকা এনে বিমানকর্মীদের বিশ্রাম এবং ছুটির নিয়মে বদল ঘটায় ডিজিসিএ। নিয়ম অনুযায়ী, বিমান সংস্থাগুলি বিমানকর্মীদের ছুটিকে সাপ্তাহিক বিশ্রামের বিকল্প হিসাবে গণ্য করতে পারবে না। অর্থাৎ সাপ্তাহিক বিশ্রাম এবং ছুটির দিন দু’টি পৃথক। এই নির্দেশিকাই আপাতত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে বিমানকর্মীদের ছুটির দিনকেই সাপ্তাহিক বিশ্রামের দিন হিসাবে গণ্য করা হবে। ডিজিসিএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং একাধিক বিমানসংস্থা থেকে পাওয়া আবেদনের ভিত্তিতে আগের নির্দেশিকাটি পর্যালোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করা হয়েছে।'

গত তিন দিনে ইন্ডিগোর প্রায় ৩ হাজার ৪০০ উড়ান বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবারই দুপুর পর্যন্ত বাতিল হয়েছে ৬০০ বিমান। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে অধিকাংশ বিমানবন্দরে আটকে রয়েছেন শ'য়ে শ'য়ে বিমানযাত্রী। কেউ অফিসের কাজে, কেউ চিকিৎসার জন্য, ইন্ডিগো বিমানে যাওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করেই বিমান বাতিল হওয়ার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি বহু যাত্রী। 

বুধবার থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রে শিডিউলে থাকা ৪৬৮টি বিমানের মধ্যে বাতিল হয়েছে ৯২টি বিমান, দেরিতে ওঠানামা করেছে ৩২০টি বিমান। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে এমন কোনও আশ্বাসও দিতে পারছে না বিমানসংস্থা। ইন্ডিগো জানিয়েছে, আপাতত আটকে পড়া যাত্রীদের সাহায্য করার চেষ্টা হচ্ছে।

এলবার্স এই সমস্যা সমাধানের জন্যতিনটি পদক্ষেপের তালিকাও দিয়েছেমন। তাঁর কথায়, "প্রথমত, গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আপনার চাহিদা পূরণের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। এবং এখনই, তথ্য, ফেরৎ, বাতিলকরণ এবং অন্যান্য গ্রাহক সহায়তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত যোগাযোগ করা।" বিমান সংস্থাটি তার কল সেন্টারের ক্ষমতাও বাড়িয়েছে।

"দ্বিতীয়ত, গতকালের পরিস্থিতির কারণে, আমাদের বেশিরভাগ গ্রাহক দেশের বৃহত্তম বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিলেন। আমাদের লক্ষ্য ছিল তাদের সকলেই তাৎক্ষণিক ভ্রমণ করতে সক্ষম ব্যবস্থা করা। এর জন্য, আমরা যাদের বিমান বাতিল করা হয়েছে তাদেরও বিমানবন্দরে না আসার জন্য অনুরোধ করছি, বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হচ্ছে।"  

"তৃতীয়ত, আমাদের ক্রু এবং বিমানগুলিকে আগামীকাল সকালে নতুন করে শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে রাখার জন্য আজকের জন্য বাতিল করা হয়েছিল। দুঃখের বিষয়, গত কয়েক দিনের পূর্ববর্তী পদক্ষেপগুলি যথেষ্ট নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে, তবে আমরা আজ আমাদের সমস্ত সিস্টেম এবং সময়সূচী পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যার ফলে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যক বাতিলকরণ হয়েছে, তবে আগামীকাল থেকে শুরু করে অগ্রগতিশীল উন্নতির জন্য এটি অপরিহার্য।"