আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বামী মাদকাসক্ত। নিত্যদিন মদ্যপান করেন। যা ঘিরে পরিবারে অশান্তি তুঙ্গে। স্বামীর এই বদভ্যাস ছাড়াতেই স্বঘোষিত এক বাবার দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক তরুণী। যা থেকেই ঘটল বিপত্তি। স্বামীর বদভ্যাস ছাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই বাবার বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত গণেশ জয়রাম জগতাপ এলাকায় 'বড় বাবা পাহাড়দিয়ালা' নামে পরিচিত ছিল। দাঁড়াগাঁও-খড়কা এলাকার বাসিন্দা ছিল সে। নির্যাতিতা তরুণী নাসিকের বাসিন্দা। তাঁর স্বামীই নিত্যদিন মদ্যপান করতেন। তরুণীর স্বামীও অভিযুক্তের সঙ্গে কাজ করতেন। যার জন্য বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল অভিযুক্তের। 

নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন, স্বামীর বদভ্যাস ছাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছিল ওই ব্যক্তি। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানেও নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই আচার, রীতি পালনের নাম করে যৌন নির্যাতন করত তরুণীকে। এদিকে স্বামীর মদ্যপানের অভ্যাস আরও বেড়ে গিয়েছিল। প্রতারণার শিকার হয়েছে, টের পেয়েই থানায় অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। 

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত ওই এলাকায় একটি আশ্রম খুলেছিল। অতীতে আরও একাধিক মহিলা তার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কমপক্ষে ১৯ লক্ষ টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসেও এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। ভাগ্য ফেরাতে বিশেষ দাওয়াইয়ের কথা জানিয়েছিল তান্ত্রিক। তা শুনেই এককথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তুতো ভাই। তাঁর সম্মতি নিয়ে সেই বিশেষ 'নিয়ম' পালন করে তান্ত্রিক। তুতো ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে সে। 'নিয়ম' পালন করেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যে ঘটনা ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের সুরাটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভরত নামের এক তান্ত্রিক দিন কয়েক আগে তুতো ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। সেখানেই ভাই ও বৌদির মুখে দুর্দশার কথা শোনে। তখনই দু'জনের ভাগ্য বদলানোর এবং সংসারে সুখ-শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। সে জানিয়েছিল, একটি বিশেষ 'নিয়ম' পালন করলে বদলে যাবে ভাগ্য। 

এরপরই বৌদিকে ধর্ষণ করে ভরত। তারপরেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গ্রামবাসীরা চিৎকার, চেঁচামেচি শুনে তান্ত্রিকের পথ আটকায়। তাকে বেঁধে রেখে মারধর করেন। মাথা ন্যাড়া করে দেন। তখনই পুলিশে খবর দেন গ্রামবাসীরা। 

ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত তান্ত্রিক ভরতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এর আগেও ওই গ্রামে একাধিক বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল ভরত। তুতো ভাইয়ের প্রতিবেশীদের সঙ্গেও তার আলাপ ছিল। কুকীর্তি ধরা পড়তেই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা তাকে মারধর করন।