আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের কবাডি খেলোয়াড়কে খুনের অভিযোগ। পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় কবাডি খেলোয়াড় গুরবিন্দর সিংকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। খেলোয়াড়কে খুন করার পরেই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে আনমোল বিষ্ণোই নামে একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করেন। পোস্টটিতে দাবি করা হয়েছে যে করণ মাদপুর এবং তেজ চাক নামে পরিচিত গ্যাং সহযোগীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। অন্যদিকে হরি বক্সার এবং আরজু বিষ্ণোইও জড়িত থাকার দাবি করেছেন।
আরজু বিষ্ণোই এবং হরি বক্সার উভয়ই পলাতক যারা বিদেশ থেকে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং পরিচালনা করছেন। তবে পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনা হতে পারে।
খুনের দায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং স্বীকার করার পর অনেকেই মধ্যেই আতঙ্ক কাজ করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে যারা এই গ্যাংয়ের শত্রু বলে পরিচিত। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমাদের শত্রুদের জন্য এটি একটি বার্তা। হয় নিজেকে শুধরে নিন। নয়ত পরবর্তী বুলেট খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।’
এই নিয়ে এক সপ্তাহে দুই কবাডি খেলোয়াড় খুন হলেন লুধিয়ানায়। এর আগে বচসার জেরে এক জাতীয় স্তরের কবাডি প্লেয়ারকে গুলির করে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। নিহত খেলোয়াড়ের নাম ছিল তেজপাল সিং। ভারতের জাতীয় স্তরের কবাডিতে তিনি সুপরিচিত নাম ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল এসএসপি অফিসের পাশেই।
জানা গিয়েছিল, জাগরাওঁর গিডারউন্ডি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তেজপাল সিং। হরি সিং হাসপাতাল রোডের উপর তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি সুইফট গাড়ি এসে রাস্তা আটকায় তেজপাল সিংয়ের। গাড়িতে বসা ব্যক্তির সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। উত্তেজনা তুঙ্গে উঠতেই আচমকা গাড়িতে বসা অন্য আরোহী হ্যান্ড গান বার করে তাঁকে শুট করে বলে অভিযোগ। সোজা বুকে গুলি লাগে তেজপালের। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
আহত, রক্তাক্ত কবাডি প্লেয়ারকে ঘটনাস্থলে ফেলেই পালিয়ে যান আততায়ীরা। পুলিশ আহত তেজপালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই ফের কবাডি খেলোয়াড় খুন হলেন লুধিয়ানায়।
