আজকাল ওয়েবডেস্ক: রামদেব, এই যোগগরু নানা করাণে বিতর্কিত। রামদেবই হাজির হয়েছিলেন একটি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের মাঝে সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদককে, যোগগুরু আচমকা কুস্তির চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসেন! সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের জয়দীপ কার্নিক। শুরু হয় লড়াই। অনুষ্ঠান-স্থলই তখন কুস্তির আখড়াষ শেয়ানে শেয়ানে চলে কুস্তি। শেষপর্যন্ত কী হল?
ওই সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক জয়দীপ কার্নিকও একজন অভিজ্ঞ কুস্তিগীর। অনুষ্ঠান চলাকালীন তা জানতে পারেন রামদেব। তখনই সম্রাদককে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বসেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের জয়দীপ কার্নিকের পরিবারে কুস্তির দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। অনলাইনে শেয়ার করা একটি ভিডিও-তে দেখা যায়, রামদেব ওই সম্পাদককে কাবু করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু কার্নিক দক্ষতার সঙ্গে প্রতিপক্ষের চালগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। এক পর্যায়ে রামদেব কার্নিককে মাটিতে ফেলে দেন! কিন্তু সম্পাদক মহাশয় দ্রুত নিয়ন্ত্রণ ফিরে পান এবং নিজের অবস্থান ধরে রাখেন। ম্যাচটি বন্ধুত্বপূর্ণভাবে শেষ হয়, উভয় প্রতিযোগী মাটিতে পড়ে যান এবং তারপর হাসিমুখে দু'জনেই উঠে দাঁড়ান।
ভিডিওটি দ্রুত অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়। একজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, "কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না, বাবা রামদেব এই বয়সেও খুব ফিট।" আরেকজন লিখেছেন, "বাবা ভেবেছিলেন তিনি সহজ শিকার পেয়েছে, হারালেই মিলবে কিছু মিডিয়া ফুটেজ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজেই হাসির পাত্র হলেন।" একটি মন্তব্যে লেখা ছিল, "খবরওয়ালা লোকটি এটি সারাজীবন মনে রাখবে।"
জয়দীপ কার্নিকের বাবা সুভাষ কার্নিক একজন বিখ্যাত কুস্তিগীর এবং মধ্যপ্রদেশের অন্যতম সম্মানিত কুস্তি লেখক ছিলেন। তাঁর দাদা রঙ্গনাথ কার্নিক ছিলেন এক সময়ের একজন কিংবদন্তী কুস্তিগীর।
এটিই রামদেবের প্রথম কুস্তির প্রদর্শনী ছিল না। পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা এর আগে হরিদ্বারে সুশীল কুমার-সহ অলিম্পিক পদকজয়ীদের সঙ্গেও কুস্তি লড়েছেন। তিনি নতুন দিল্লিতে পতঞ্জলি পাওয়ারভিটা প্রো রেসলিং লিগের একটি প্রচারমূলক ম্যাচে রৌপ্য পদকজয়ী আন্দ্রি স্ট্যাডনিকেরও মুখোমুখি হয়েছিলেন। আন্দ্রি স্ট্যাডনিক ২০০৮ সালের অলিম্পিকে সুশীল কুমারকে পরাজিত করেছিলেন। তাঁর গেরুয়া পোশাকে রামদেব টেক-ডাউন, এক পায়ে ধরা এবং পিনের মতো কৌশল প্রদর্শন করে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচটি ১২-০ ব্যবধানে জিতে নেন। লড়াইটি ছিল প্রচারমূলক, যেখানে স্ট্যাডনিক এবং রেফারিরা রামদেবকে তাঁর দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ দিয়েছিলেন।
রামদেব মানুষকে স্ট্যামিনা এবং ফিটনেসের জন্য কুস্তি শিখতে উৎসাহিত করেন এবং খেলাটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়ার সম্ভাবনার প্রশংসা করেন।
