আজকাল ওয়েবডেস্ক: লালাকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কৃষকদের হয়ে জোর সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির স্পষ্ট ঘোষণা, তাঁর সরকার কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে কখনও আপস করবে না, কারণ কৃষকরাই দেশকে "স্বয়ংসম্পূর্ণ" করেছেন। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর 'কৃষক দরদ' সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কৌশলী বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নিয়ে টানা দ্বাদশবার লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি বলেন, "স্বাধীনতার পরে সকলের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু আমাদের কৃষকরা দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন।"
'আত্মনির্ভর ভারত'-এর জন্য তাঁর সরকারের প্রচেষ্টার প্রতিধ্বনি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল হওয়া বিপর্যয়ের একটি রেসিপি। আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাদের অবশ্যই স্বনির্ভর হতে হবে।"
#WATCH | Delhi: Prime Minister Narendra Modi says, "Bharat ke kisan, machuware, pashupalak se judi kisi bhi ahitkaari neeti ke aage Modi deewar banke khada hai..."
— ANI (@ANI)
"Modi is standing like a wall in front of any policy against the interest of our farmers, fishermen, cattle… pic.twitter.com/vHdRWR1hkPTweet by @ANI
আরও পড়ুন- একধাক্কায় কমে যাবে কর! স্বাধীনতা দিবসে 'ডবল দিওয়ালি' উপহার ঘোষণা মোদির
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের উপর বাড়তি শুল্ক বোঝা চাপিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী গত সপ্তাহেই বলেছিলেন যে, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিশাল মূল্য চোখাতে প্রস্তুত।
মার্কিন কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য তার অভ্যন্তরীণ বাজার উন্মুক্ত করার জন্য ট্রাম্পের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে নয়াদিল্লির অনিচ্ছার কারণে বাণিজ্য চুক্তি আপাতত বিষ বাঁও জলে। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, আমেরিকা চায় ভারত কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক। কিন্তু তাতে নারাজ নয়াদিল্লি। তাড়াহুড়োয় কেবল আমেরিকার সুবিধা হয়, এমন একপাক্ষিক চুক্তি করতে নারাজ ভারত।
এই অচলাবস্থার মধ্যে, ট্রাম্প ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন এবং নয়াদিল্লির রাশিয়া থেকে তেল ক্রয়ের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন (মোট শুল্ক ৫০ শতাংশ)। হোয়াইট হাউস বলেছে যে, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন টিঁকিয়ে রাখতে তাদের তেল ক্রয় আসলে যুদ্ধ বজায় রাখার জন্য একটি রাজস্ব উৎস।
আরও পড়ুন- পুতিনকে চাপে ফেলতেই ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ! খোলসা করে ফেললেন ট্রাম্প
