আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্রাম্পের বিষ নজরে রাশিয়া, তারই মাসুল গুণতে হচ্ছে ভারতকে? তাহলে কি রাশিয়াকে চাপে ফেলতেই ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? বিষয়টি খোলসা করলেন খোদ ট্রাম্পই!
রাশিয়ার থেকে তেল কেনার 'অপরাধে ভারতের উপরে শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন। এর পর থেকেই 'বন্ধু' রাষ্ট্রের উপর ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপের কারণ ঘিরে নানা কাটাছেঁড়া চলছে। তার মধ্যেই ফক্স নিউজ রেডিয়ো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপরে ভারতের উপরে দ্বিতীয় শুল্ক চাপানো হয়তো চাপ সৃষ্টি করেছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, "প্রতিটা জিনিসেরই প্রভাব রয়েছে। যখন তুমি নিজের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রাহককে হারাবে এবং প্রথম বৃহত্তম গ্রাহককেও প্রায় হারাতে বসো, তখন আমার মনে হয় নিশ্চয়ই প্রভাব পড়েছে।"
শুক্রবার ১৫ অগাস্ট, আলাস্কায় মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। আর পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের এই আলোচনা প্রসঙ্গেই উঠে এসেছে ভারতের কথা।
আরও পড়ুন- পরমাণু হুমকি বরদাস্ত নয়, স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী মনে করালেন, 'রক্ত-জল একসঙ্গে বইবে না'
চলতি মাসের গোড়াতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট একধাক্কায় ভারতের উপরে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দেন। ভারত যদি রাশিয়ার থেকে তেল কেনে, তাহলে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপাবেন বলেই হুমকি দেন।
অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সময় ট্রাম্প প্রশাসন নয়াদিল্লিকে, ইউক্রেনে সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধে মস্কোকে পরোক্ষভাবে অর্থায়নের অভিযোগ করেছে।
এদিকে, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি সতর্ক করে দিয়েছেন যে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর অতিরিক্ত সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করতে পারে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আলাস্কা আলোচনার ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। স্কট বেসেন্ট ব্লুমবার্গ টিভিকে বলেন. "আমরা রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ভারতীয়দের উপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করেছি। এবং আমি দেখতে পাচ্ছি, যদি পরিস্থিতি ঠিকঠাক না হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা বা সেকেন্ডারি শুল্ক বাড়তে পারে,"।
শুল্ক ইস্যুতে বর্তমানে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক বেশ টলমল। ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ভারত কখনওই কৃষকের স্বার্থে আপোস করবে না, অর্থনৈতিক ক্ষতির শঙ্কা থাকলেও না। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক ট্রাম্পের শুল্ক দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্তকে "অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য" বলে অভিহিত করেছে।
