আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরালার কোচি থেকে এক হৃদয়বিদারক এবং ক্ষোভ জাগানো ঘটনা সামনে এসেছে। এক ব্যস্ত যাত্রীবোঝাই বাসে এক মহিলাকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়। কিন্তু তিনি আতঙ্কিত না হয়ে অসাধারণ সাহস দেখিয়ে নিজের মোবাইল ফোনে ঘটনাটি রেকর্ড করেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সরাসরি ধরে চড়-ঘুষি মারেন। এই ঘটনার ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে এবং জনগণের মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা বাসে বসে আছেন, পাশে বসে থাকা এক পুরুষ ক্রমশ তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছে। প্রথমে ওই ব্যক্তি চুপিচুপি মহিলার শরীরে স্পর্শ করার চেষ্টা করে। কিন্তু মহিলা সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে যান। ভিডিওর পরবর্তী অংশে দেখা যায়, লোকটি তাঁর টপের ভিতরে হাত ঢোকানোর চেষ্টা করছে। মুহূর্তের মধ্যে মহিলা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং নিজের ফোনে ভিডিও চালু রেখেই অভিযুক্তকে চড় ও ঘুষি মারতে শুরু করেন।
পরিস্থিতি বুঝে বাসের অন্য যাত্রীরা এবং কন্ডাক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কন্ডাক্টর ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেন এবং ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি লজ্জিত মুখে চুপচাপ বসে আছে, আর মহিলা সাহসিকতার সঙ্গে তাঁকে তিরস্কার করছেন।
ঘটনার পর এখনো পর্যন্ত পুলিশ কোনও সরকারি বিবৃতি দেয়নি, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নেটিজেনরা। অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “অত্যন্ত ঘৃণ্য আচরণ। এই ধরনের অপরাধ বরদাস্ত করা যায় না। যারা প্রকাশ্যে নারীদের হেনস্তা করে, তাদের চিহ্নিত করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া উচিত যাতে প্রকৃত শাস্তি হয়।”
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “লোকটাকে অন্তত আরও দশটা চড় খাওয়ানো উচিত ছিল। এই ধরনের বিকৃত মানসিকতার লোকদের জনসমক্ষে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।”
তবে অনেকেই আবার দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, বাসের অন্য কেউ তখন মহিলার পাশে দাঁড়াননি। এক ব্যবহারকারীর মন্তব্য, “জনগণ এখন আর এগিয়ে আসে না। মিথ্যা অভিযোগ আর লিঙ্গভিত্তিক পক্ষপাতের ভয়ে মানুষ চুপ করে থাকে। কিন্তু এই ঘটনায় মেয়েটি যে সাহস দেখিয়েছে, সেটাই আসল উদাহরণ।”
পুলিশ এখনো পর্যন্ত ঘটনার বিষয়ে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি দেয়নি, তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, ভাইরাল ভিডিওটি তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রশ্ন উঠেছে—পাবলিক ট্রান্সপোর্টে নারীরা কতটা নিরাপদ? সেই সঙ্গে এই মহিলার মতো সাহসী প্রতিবাদই যে অপরাধীদের রুখতে পারে, সেটাই আজকের শিক্ষণীয় বার্তা হয়ে উঠেছে।
🪩 कहां है, वह लोग जो नारा दिया करता था
— INDStoryS (@INDStoryS)
बेटी बचाओ बेटी पढ़ाओ योजना केंद्र सरकार का यह नारा सही था य गलत।
कहीं पर भी हमारे देश के बहन बेटियों सुरक्षित नहीं।#KL:-केरल कट्टाकड़ा जहाँ एक महिला बस में सफर कर रही थी, तभी पास में बैठे एक व्यक्ति ने उसके साथ छेड़खानी की जांबाज़… pic.twitter.com/fmWxS2rgdPTweet by @INDStoryS
