ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোর শহরে। এক তরণী সদ্য এমবিবিএস পাশ করেছিলেন। এরপরই মেয়ের বিয়ে দেবে বলে ঠিক করেন বাবা। যথারীতি বিত্তশালী এক পরিবারে তিনি মেয়ের কন্যাদান সারেন। বিয়ের পর ওই তরুণী দিব্যি ভাল ছিলেন। আরাম আয়েশে দিনও কাটছিল তাঁর। শ্বশুরবাড়িতে সুইমিং পুল থেকে শুরু করে জিম-সহ নামীদামি গাড়ি কি না ছিল। তরুণীর দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে দিয়ে বাড়ির কোনও কাজ করাতেন না। এভাবেই শ্বশুরবাড়িতে ছ’মাস কাটানোর পর তরুণী লক্ষ্য করেন গোটা পরিবার আচমকাই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছেন। এতেই তরুণীর মনে সন্দেহ জাগে। তারপর বাড়ির বেসমেন্টে নিয়ে গিয়ে তরুণী দেখেন, একগুচ্ছ ছেড়া জামা কাপড়। সেগুলি সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়েই জানতে পারেন ওই জামাকাপড় পরেই নাকি পরিবারের সদস্যরা ভিক্ষা করতে যেতেন। 

ওই তরুণীর একটি সাক্ষাৎকার ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তরুণী তাঁর সঙ্গে হওয়া ঘটনাটি সকলকে জানিয়েছেন। সেখানে তিনি গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ভিক্ষুক ছদ্মবেশ দেওয়ার জন্য একজন মেকআপ আর্টিস্টও ছিল। তরুণীর আরও দাবি, ভিক্ষা করেই না কি কোটিপতি হয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। ভিডিওটির শেষে নেটিজেনদের প্রতি তরুণী সতর্কবার্তা, ভাল করে খোঁজ খবর নেওয়ার পরেই মেয়ের বিয়ে দেবেন।