আজকাল ওয়েবডেস্ক: দু'দিনের জন্য কাশ্মীরে গিয়েছিলেন সপরিবারে। নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ তাঁরা। যাওয়ার কথা ছিল 'মিনি সুইজারল্যান্ড' বৈসরণেও। পহেলগাঁওয়ে পৌঁছনোর ঠিক আগেই খিদে পায় সকলের। স্থানীয় হোটেলে লাঞ্চ সারতে যান। সেই খাবারে অতিরিক্ত নুন ছিল বলেই, পহেলগাঁও থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরলেন এক পরিবারের ১১ জন সদস্য।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ১১ পর্যটক কেরলের বাসিন্দা। কোচির লাবণ্য নামের এক যুবতী জানিয়েছেন, তিনি, স্বামী, তিন সন্তান সহ পরিবারের আরও সদস্যদের নিয়ে দু'দিনের জন্য কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন গত সপ্তাহে। গত মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা দেন। ঠিক পহেলগাঁওয়ে ঢোকার মুখেই দেখতে পান, কয়েকটি ঘোড়া বিক্ষিপ্তভাবে দৌড়াদৌড়ি করছে। তখনই সন্দেহ হয়েছিল তাঁদের।
আরও কিছুদূর যাওয়ার পর দেখেন, তাঁদের পাশ দিয়ে দ্রুত বেগে পর্যটকদের গাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এবং সকলেই গাড়ি ঘোরাতে বলছেন। তখনও কারও ইঙ্গিত বুঝতে পারেননি। পহেলগাঁওয়ে ঢোকার মুখে লাবণ্যর স্বামী প্রস্তাব দেন, স্থানীয় কোনও রেস্তোরাঁয় লাঞ্চ সেরে নেওয়ার। রাস্তার ধারে লোকাল একটি রেস্তোরাঁয় লাঞ্চ করতে যান সকলে।
সেই রেস্তোরাঁয় মটন রোগান জোস অর্ডার করেন সকলে মিলে। কিন্তু খাবার মুখে তুলেই সকলের মেজাজ বিগড়ে যায়। সেই খাবারেই ছিল অতিরিক্ত নুন। রেস্তোরাঁর কর্মীদের জানাতেই তাঁরা বলেন, আবারও নতুন করে রান্না করে এটি পরিবেশন করা হবে। তাই খানিকক্ষণ অপেক্ষা করতে। সেই রেস্তোরাঁয় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিল লাবণ্যর পরিবার।
ততক্ষণে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। রেস্তোরাঁয় খেতে খেতেই পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার খবর জানতে পারে ১১ জনের পরিবার। তড়িঘড়ি লাঞ্চ সেরেই শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দেন সকলে। ২৫ এপ্রিল বাড়ি ফেরেন তাঁরা। লাবণ্য জানিয়েছেন, সেদিন খাবারে অতিরিক্ত নুন না থাকলে সময়মতো লাঞ্চ সেরে পহেলগাঁওয়ে ঘুরতে যেতেন। নিহত পর্যটকদের মতোই তাঁদের পরিণতি হতে পারত। সেই রেস্তোরাঁর কর্মীদের কারণেই প্রাণে বেঁচেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
