আজকাল ওয়েবডেস্ক: জিমে রাখা যাবে না কোনও মুসলিম প্রশিক্ষক। ভর্তি করানো যাবে না ওই ধর্মের কোনও প্রশিক্ষণার্থীকেও। এমনই ফরমান জারি করেছেন খোদ পুলিশকর্তা। জিম মালিকের সঙ্গে কথোপকথনের সময় পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর এই নির্দেশ দিয়েছেন। সেই আলাপচারিতা ভাইরাল হতেই হইহই পড়ে গিয়েছে। শেষমেষ সাব-ইন্সপেক্টর দীনেশ শর্মার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের।
ভাইরাল ভিডিও-তে, সাব-ইন্সপেক্টর দীনেশ শর্মাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "কোনও মুসলিম এখানে প্রশিক্ষণ দিতে বা নিতে আসবে না। আমি আপনাকে (জিম মালিক) স্পষ্ট করে বলেছি।"
কয়েকদিন আগে বজরং দলের সদস্যরা ভোপালের অযোধ্যা নগর এলাকার একটি জিমে গিয়ে মুসলিম প্রশিক্ষকদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই সময়ই পুলিশ ওই বিবৃতি দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উত্তেজনা প্রশমনের জন্য পুলিশকে ডাকা হয়েছিল। প্রতিক্রিয়াশীলদের মধ্যে ছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর দীনেশ শর্মাও।
পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে, শর্মাকে জিম মালিককে নির্দেশ দিতে দেখা যাচ্ছে যে- তিনি মুসলিম প্রশিক্ষক বা ক্লায়েন্টদের জিমে প্রবেশ করতে দেবেন না। তাঁকে বলতে ষশোনা যাচ্ছে, "কোনও মুসলিম এখানে প্রশিক্ষণ দিতে বা নিতে আসবে না। আমি আপনাকে স্পষ্ট করে বলেছি।"
"कोई मुस्लिम ना ट्रेनिंग देने आएगा और ना लेने"
— News24 (@news24tvchannel)
◆ भोपाल की GYM से SI का Video वायरल
◆ भोपाल के एक जिम में बजरंग दल के कार्यकर्ता पहुंचे और जिम संचालक से मुस्लिम जिम ट्रेनर्स की जानकारी मांगी#Bhopal #Gym #MPPolice | Bhopal Gym Trainer pic.twitter.com/6JpgB9oWXjTweet by @news24tvchannel
ভিডিওটি প্রচারিত হওয়ার পর, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তারা ঘটনাটি লক্ষ্য করেছেন এবং অফিসারের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছেন।
এদিকে, ভোপালের সাংসদ এবং বিজেপি নেতা অলোক শর্মা সাব-ইন্সপেক্টরের মন্তব্যের সমর্থনে সোচ্চার। তিনি মুসলিম জিম প্রশিক্ষকদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, ভোপালে প্রশিক্ষকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান যে, মহিলা ক্লায়েন্টদের কেবল মহিলা প্রশিক্ষকদের নিয়োগ করা উচিত। অলোক শর্মার কথায়, "জিম প্রশিক্ষকদের তালিকা পুলিশের কাছে দেওয়া হবে, যারা আইন অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। মধ্যপ্রদেশে মোহন যাদবের নেতৃত্বাধীন সরকার রয়েছে। লাভ জিহাদ এবং ল্যান্ড জিহাদকে অনুমতি দেওয়া হবে না।"
এই মন্তব্যগুলি সম্প্রতি ইন্দোরের শুটিং একাডেমির অপারেটর মহসিন খানকে গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে। যাঁর বিরুদ্ধে রাইফেল শুটিং অনুশীলনের আড়ালে একজন মহিলা প্রশিক্ষণার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
বজরং দলের কর্মীদের অভিযোগ, "মহসিন খান নিরীহ হিন্দু কন্যাদের ফাঁদে ফেলেছিলেন। তাঁর ফোনে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে যে- ১৫০ জনেরও বেশি হিন্দু কন্যাকে একইভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।"
