আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেওঘরের লাভলি। বিহারের সিওয়ান জেলার রবি। বিয়ের বেশিদিন হয়নি তাঁদের। অথচ যে পরিণতি হল দম্পতির, শোকাতুর পরিবার কারণ খুঁজছে। যদিও অনেকেই বলছেন, ওই দম্পতির মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। তা থেকেই এই পরিণতি বলে মনে করছেন পড়শিরা।
বুধবার দুপুরে দেওঘরের বেলাবাগান কালিবাড়ি এলাকায় ওই দম্পতির রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য। জানা গিয়েছে, দু'জনেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে দেহ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
তথ্য, রবি শর্মা এবং লাভলি শর্মার বিয়ের বয়স এক বছরের চেয়ে খুব একটা বেশি নয়। পুলিশ মৃত্যু প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ওই ভাড়াবড়িতে দীর্ঘক্ষণ ধরে দরজা বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। খঁজ করে বুঝতে পারেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকেই বন্ধ। বারবার ধাক্কা দেওয়ার পরেও কোনও উত্তর না পাওয়ায়, প্রতিবেশীরা বাড়িওয়ালাকে খবর দেয় এবং পরে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর দু'জনের দেহ উদ্ধার করে। খবরটি দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বাড়ির বাইরে প্রচুর ভিড় জমে যায়।
নমুনা সংগ্রহ এবং ঘটনাস্থল পরীক্ষা করার জন্য ঘটনাস্থলে একটি ফরেনসিক দলকে ডাকা হয়। দম্পতির মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়েও জল্পনা ছড়ায়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই বোঝা যাবে সঠিক কারণ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে, লাভলি দেওঘরের কালীরেখার বাসিন্দা, আর রবি মূলত বিহারের সিওয়ান জেলার বাসিন্দা। দেওঘরে আসার আগে তিনি গুয়াহাটিতে কাজ করতেন। পুলিশ জানিয়েছে যে বিয়ের পর থেকেই এই দম্পতির মধ্যে বৈবাহিক অশান্তি চলছিল। কয়েক মাস আগে, লাভলির পরিবার দেওঘরের মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল, যার পরে দুজনকেই একত্রে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, আলোচনা করা হয় এবং একটি আপস করা হয়েছিল। হস্তক্ষেপের পরে দম্পতি আবার একসাথে বসবাস শুরু করেছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মঙ্গলবার রাতে দম্পতির মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়, যার পরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভয়াবহ এক ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। খবর অনুযায়ী, মীমাংসার জন্য স্ত্রীর বাপের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এক ৩৫ বছর বয়সি যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ শাকিল। তাঁর স্ত্রীর নাম রাজিয়া সুলতানা। তাঁদের ১২ বছরের বিবাহিত জীবন। ঘটনা ঘিরে চরম চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, এই দম্পতির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। এ নিয়ে যুবতী থানায় একটি মামলাও করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন শাকিলকে আলোচনার জন্য কেজি হল্লির এমএম অ্যাপার্টমেন্টের বেসমেন্টে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আলোচনার বদলে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়, যা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে গড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, জবিউল্লা খান, ইমরান খান এবং ফায়াজ খান তিন অভিযুক্ত। তিনজন মিলে শাকিলকে হেলমেট দিয়ে মারেন, ঘুষি মারেন এবং বারবার লাথি মারতে থাকেন। মারধরের সময় শাকিল সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আঘাতে পরে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য এলাকায়।
