আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশজুড়ে মুঘল ও মুসলিম শাসকদের স্মৃতিচিহ্ন ধ্বংস বা অপমান করার চেষ্টা যখন অব্যাহত, তখন ঠিক তার বিপরীতে সরকারি তথ্য উঠে এসেছে—মুঘল যুগের পাঁচটি জনপ্রিয় স্মৃতিস্তম্ভ গত পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারকে ৫৪৮ কোটি টাকার রাজস্ব এনে দিয়েছে।

সম্প্রতি সংসদে সংস্কৃতি মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগ্রার তাজমহল, দিল্লির কুতুব মিনার ও লাল কেল্লা, আগ্রা ফোর্ট এবং মহারাষ্ট্রের বিবি কা মকবরা—এই পাঁচটি মুঘল স্থাপত্য দেশের সর্বাধিক দর্শনীয় স্থান হিসেবে উঠে এসেছে।

তাজমহল একাই ২.২ কোটি দর্শক টেনে এনেছে ২০১৯-২০২৪ সময়কালে, এবং ২৯৭.৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব জোগাড় করেছে। অথচ আগ্রার সব স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষণাবেক্ষণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরচ হয়েছে মাত্র ২৩.৫২ কোটি টাকা।

তথ্য জানায়, কুতুব মিনার থেকে ৬৩.৭৪ কোটি, লাল কেল্লা থেকে ৫৪.৩২ কোটি, আগ্রা ফোর্ট থেকে ৬৪.৮৪ কোটি ও বিবি কা মকবরার থেকে ৬৮.৫১ কোটি টাকা এসেছে।

তবু বিজেপি নেতা ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি মুঘল স্থাপত্য নিয়ে নানা 'মিথ্যা' দাবি তুলে চলেছে। আসামের বিজেপি বিধায়ক রূপজ্যোতি কুর্মি গতবছর প্রধানমন্ত্রীকে তাজমহল ভেঙে মন্দির গড়ার সুপারিশ করেছিলেন।

এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে—ঐতিহাসিক স্থাপত্যের আর্থিক অবদান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ছাপিয়ে কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে?