আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিল সে। কথা বলতে পারত না। হাঁটতেও পারত না। জন্ম থেকে বিশেষভাবে সক্ষম বলে, বাড়তি পরিশ্রম হত মা-ঠাকুমার। নিত্যদিনের পরিশ্রম থেকে মুক্তি পেতে চরম পদক্ষেপ করল তারা। ভুল ওষুধ খাইয়ে ১৭ বছর বয়সি বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরীকে খুন করল তার মা-ঠাকুমা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানেতে। পুলিশ সূত্রে খবর, জন্ম থেকে কিশোরী কথা বলতে, হাঁটাচলা করতে পারত না। গত ১৫ ফেব্রুয়ারিতে আচমকা সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেদিন সারারাত বিছানায় শুয়ে কান্নাকাটি করছিল। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে শুধুই ওষুধ চাইছিল। তাতেই বিরক্ত হয়ে ওঠে মা।
১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে হতাশায় মেয়েকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল ওষুধ খাইয়ে দেয় তার মা। গোটা বিষয়টি চোখের সামনে দেখেও, কোনও প্রতিবাদ করেনি ঠাকুমা। বরং মৃতদেহ লুকানোর চেষ্টায় সাহায্য করে। রাত দেড়টা নাগাদ মা, ঠাকুমা এবং আরও এক মহিলা মিলে কিশোরীর মৃতদেহ টেনে ফ্ল্যাটের নীচে নিয়ে যান। ফ্ল্যাটের নীচে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে ভরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
কিশোরীকে খুনের বিষয়টি লুকিয়ে গেলেও, রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে তাদের কীর্তি। মেয়ের দেহ টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে তাদের। তদন্তের পর কিশোরীর মা, ঠাকুমা ও ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
