আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভয়াবহ৷ বেঙ্গালুরুতে এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাকে পাকড়াও করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছিল গত রবিবার, অর্থাৎ ৯ নভেম্বর। পুলিশ জানিয়েছে, এমআর নগর, আডুগোদি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা মহিলা কথা বলতে ও ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। তাঁর বুদ্ধির বিকাশও একটি শিশুর মতোই। ঘটনার দিন তাঁর বাড়ির লোকেরা এক বিয়েতে গিয়েছিলেন। তখন বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি। সেই সুযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযুক্ত।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম ভিগনেশ ওরফে 'দাদু'। জানা গিয়েছে, সে ওই দিন সকাল ১১টা নাগাদ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই বাড়িতে ঢোকে। এরপর জোর করে বাড়িতে ঢুকে সে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। পরে নির্যাতিতার মা বাড়ি ফিরে এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ধাক্কা মেরে দরজা খুলতেই তিনি হতবাক হয়ে যান। তাঁর মেয়ে আংশিক বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত তখনও বাড়িতেই উপস্থিত ছিল। দরজার কাছে লুকিয়ে ছিল সে।
খবর অনুযায়ী, সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত তড়িঘড়ি পোশাক পরে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয় মানুষজন তাকে ধরে ফেলেন এবং রাস্তায় ফেলে মারধর করে। এর পরে পুলিশের হাতে তুলে দেন সকলে মিলে।
ঘটনার জেরে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংবিধান - এর নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারায় (যৌন হেনস্থা, হামলা, আঘাত করা এবং বাড়িতে জোর করে ঢোকার অভিযোগে) মামলা করা হয়েছে। প্রথমে অভিযুক্তের পুলিশি হেফাজত পরে জেল হেফাজত হয়।
অন্যদিকে, আলোচনার নাম করে ডেকে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ এক প্রবীণ আইনজীবীর বিরুদ্ধে৷ ঘটনার জেরে ৫৫ বছর বয়সি এক আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁকে ইতিমধ্যেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা ঘিরে সম্প্রতি ব্যাপক শোরগোল।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ নভেম্বর এক যুবতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতার বয়স ৩৭ বছর। তাঁর অভিযোগ, আদালতে তাঁর আগে থেকেই একটি ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলা চলছিল। অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জিতেন্দ্র নামে ওই ব্যক্তি। মামলাটি আপস করার জন্য (মিটমাট করার জন্য) জিতেন্দ্রই প্রস্তাব দেন, যা যুবতী মেনে নেন।
অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, গত ৬ নভেম্বর অভিযুক্ত জিতেন্দ্র তাঁকে আপসের কথা বলার জন্য ডেকেছিলেন তাঁর কেবিনে। এরপর নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে তিনি যুবতীকে নিজের গাড়িতে তোলেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে জোর করে মদ খাওয়ান। এরপরই জিতেন্দ্র তাঁকে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত আইনজীবীকে রবিবার গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই আরও এক নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। হবু স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। কিন্তু কিশোরী তাতে রাজি ছিল না। এদিকে ফাঁকা বাড়িতে যৌনতার শখ মাথায় চাপে যুবকের। স্ত্রীর মেজাজ দেখে রেগে লাল হয়ে যায়। অবশেষে কিশোরীকে ধর্ষণ করে, শ্বাসরোধ করে খুন করল সে। বিয়ের আগে হাড়হিম কাণ্ডে শিউরে উঠেছেন সকলে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালগড়ে। এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীকে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল ওই যুবক। এদিকে যৌনতায় লিপ্ত হতে অনিচ্ছুক ছিল ওই কিশোরী। এর জেরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। বিদালধার গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিল যুবক। এর কয়েক মাস আগেই কিশোরীর সঙ্গে যুবকের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। কাজের জন্য কিশোরীর বাবা, মা বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই নির্জনতার সুযোগেই অভিযুক্ত যুবক কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে আসে।
ফাঁকা বাড়িতে কিশোরীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় কিশোরী। এরপরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে কাছের একটি জঙ্গলে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। বাড়িতে ফিরেই মেয়ের নিথর শরীর দেখে আঁতকে ওঠেন বাবা, মা। দ্রুত থানায় অভিযোগ জানানো হয়। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান কিশোরীর মা। অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। অন্যদিকে কিশোরীর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
