আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুরুটা হয়েছিল আর পাঁচটা দিনের মতোই। ঠিকঠাকই কাজ চলছিল সরকারি দপ্তরে। আচমকাই সেখানে এসে হাজির হলেন 'মৃত' ব্যক্তি। হাতে ধরে রয়েছেন ডেথ সার্টিফিকেট। হতবাক বেলাগাভির ডেপুটি কমিশনার মহম্মদ রোশন। আইএএস আধিকারিকের কাছে তাঁর আর্তি, জীবিত প্রমাণ করতে সাহায্য করুন। নিলে কোনও সরকারি সুবিধা মিলছে না। নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে আধার কার্ড। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাও তোলা যাচ্ছে না।

কর্নাটকের সাবাগাঁওয়ের বাসিন্দা গণপতি কাকাটকারের অভিযোগ, সরকারি দপ্তরের ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের সামান্য ভুলে ভুগতে হচ্ছে তাঁকে। এর ফলে ভাগের জমি খোয়াতে বসেছেন ৬২ বছরের বৃদ্ধ। তিনি জানিয়েছেন, দুই বছর আগে তহশিলদারের দপ্তর থেকে ঠাকুরদার ডেথ সার্টিফিকেট পেতে গিয়ে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। এরপর হিন্দালগাতে রাজস্ব আধিকারিকের অফিসের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ভুল করে বসেন। ঠাকুরদার রেখে যাওয়া ছয় একর সম্পত্তির অংশীদারি বদলের জন্য তিনি এবং তাঁর ভাই আবেদন করতেই এই ভুল নজরে আসে।

ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। রেশন কার্ড থেকে নাম বাদ গিয়েছে। এবং তাঁকে 'মৃত' বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। পাচ্ছেন না কোনও সরকারি সুবিধাও। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ভুল চোখে পড়তেই বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দৌড়নো শুরু করেন গণপতি। অবশেষে জানতে পারেন ঠাকুরদার আধার নম্বরে জায়গায় তাঁর আধার নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাজারও বার বলা সত্ত্বেও কেউ কোনও পদক্ষেপ করেননি।

সোমবার ডেপুটি কমিশনাররের দপ্তরে গিয়ে তাঁর কাছে সবটা জানান গণপতি। রোশন অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনারকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। গণপতিকে আশ্বস্ত করেছেন দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হবে।