আজকাল ওয়েবডেস্ক: পণের দাবি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকতো। যার পরিণতি হল মারাত্মক। স্ত্রীকে খুনের পর দেহ টুকরো করে একাধিক জায়গায় ফেলে দিয়েছিলেন স্বামী। প্রমাণ লোপাটে কাটা হাত-পার সঙ্গে জামাকাপড়-ও পুড়িয়েও দেওয়া হয়! বীভৎস এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তিতে।অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি জানাজানি হয় গত ১৪ মে। সাবিনার ভাই পুলিশকে জানায়, কয়েকদিন আগে লখনউ যাওয়ার কথা বলেছিলেন দিদি। কিন্তু পরে সইফুদ্দিনকে সে এলাকায় দেখতে পেলেও সাবিনাকে দেখতে পায়নি। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করলেও বিশ্বাসযোগ্য কোনও উত্তর দিতে পারেনি সইফুদ্দিন। এরপরই সে নিখোঁজ সাবিনার সন্ধানে থানায় মিসিং ডায়েরি করে। পুলিশ তদন্ত শুরু করার পরই একের পর এক দেহাংশ উদ্ধার হয়। তাতেই সন্দেহ বাড়ে যে নারকীয় এক ঘটনা ঘটিয়েছে সইফুদ্দিন।
এরপরই সইফকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। প্রথমে পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেনি সইফুদ্দিন। টানা দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর চাপে পড়ে সইফ জানায় পণের জন্য সে স্ত্রীকে খুন করেছে। কীভাবে এই কাজ করল তাও জানানো হয়েছে। সে আরও জানায় যে, ২৫ বছর বয়সী সাবিনার হাত পুড়িয়ে কাছের একটি বাগানে লুকিয়ে রেখেছিল সে। সেই পোড়া হাতটি উদ্ধার করেই রহস্যভেদ করে পুলিশ। অভিযুক্তকে জেলে পাঠানো হয়।
জেরায় পুলিশকে সইফুদ্দিন জানিয়েছে, রাগের বশে স্ত্রী সাবিনাকে খুন করে এবং দেহ লোপাট করতে তা কেটে টুকরো করে দেওয়া হয়েছিল। ওই অঞ্চলের অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দেহাংশ ছড়িয়ে দিয়েছিল যুবক। অন্যদিকে, মৃতদেহের অংশ খুঁজে পেলেও যাতে তাকে কেউ চিনতে না পারে সেই কারণে হাত-পা এবং জামাকাপড় পুড়িয়ে ফেলেছিল সে। মৃত স্ত্রীর মুখও ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছিল।
