আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী পঙ্কজা মুণ্ডের ব্যক্তিগত সহকারী অনন্ত গার্জেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর স্ত্রী গৌরী গার্জের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, পারিবারিক অশান্তি এবং অত্যাচারের জেরেই গৌরী আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার ভোরে অনন্ত গার্জেকে মুম্বইয়ের ওরলি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আজই তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক ঝামেলার কারণে এই মৃত্যু। মুম্বইয়ের বাড়িতে গৌরী গার্জে আত্মঘাতী হন। জানা গিয়েছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় ওরলি এলাকায় নিজেদের ফ্ল্যাট থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। গৌরী পালভে-গার্জে পেশায় দন্ত চিকিৎসক ছিলেন। তিনি পুরসভার অধীনে কেম হাসপাতালে কাজ করতেন। তাঁদের বিয়েতে মন্ত্রী পঙ্কজা মুণ্ডে এবং প্রাক্তন সাংসদ প্রীতম মুণ্ডের মতো বহু পরিচিত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
গৌরীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অনন্ত গার্জে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই গৌরী আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁদের দাবি। পরিবারের বক্তব্য, পুলিশ যেন ভালোভাবে এই ঘটনার তদন্ত করে।
পরিবারের অভিযোগ, অনন্ত গার্জের অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। মোবাইলে অন্য এক মহিলার সঙ্গে কথা বলার সময় গৌরী তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন। পরিবারের দাবি, এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হতো এবং গার্জে স্ত্রীকে হুমকিও দিতেন।
গৌরীর কাকা অবশ্য আরও গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, এটা আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত খুন। তিনি অনন্ত গার্জে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের এই খুনের জন্য দায়ী করেছেন। তিনি ক্যামেরার সামনে ময়নাতদন্ত এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ সিবিআই -এর মাধ্যমে তদন্তের দাবি তুলেছেন।
অন্যদিকে, অনন্ত গার্জে পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ফিরে এসে দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তাঁর দাবি, তিনি ওপরের তলা, অর্থাৎ ৩১ তলার জানলা দিয়ে কোনওমতে নিজের ৩০ তলার ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখেন, তাঁর স্ত্রী ঝুলছেন। বর্তমানে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।
