আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রের সোলাপুর শহরে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ১৮ বছর বয়সি এক যুবক চরম পদক্ষেপ করে। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করার পর সে আত্মঘাতী হয়৷ এই ঘটনায় সকলের মনেএখন একটাই প্রশ্ন, তরুণের এই চরম পদক্ষেপ করার কারণ কী? জানা গিয়েছে, মৃত তরুণের নাম যোগেশ অশোক খ্যাগ। তরুণের এহেন ঘটনার কারণ বর্তমানে তদন্তাধীন। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সোলাপুরের সুশীল নগরের বাসিন্দা ছিল সে। একটি বেকারিতে কাজ করত যোগেশ। শনিবার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তার বাবা-মা বাড়ি ফিরলে, যোগেশকে তাঁরা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

জানা গিয়ছে, আত্মহত্যার কিছুক্ষণ আগে সে তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছিল, 'মরার আগে আমি সকলের মন থেকে নেমে যেতে চাই, যাতে আমার মৃত্যুর পর কেউ আমাকে মনে না করে।'
এছাড়াও, তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে লেখা ছিল,"The end is the beginning of existence" অর্থাৎ, 'শেষই হলো অস্তিত্বের শুরু'। যোগেশের বাবা একজন দারোয়ান। ঘটনার দিন যোগেশের বাবা মা বাড়ি ছিলেন না। তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন তাঁরা৷ বাড়ি ফিরেই ছেলেকে এই অবস্থায় দেখে হুড়োহুড়ি লেগে যায়৷ 

বাবা-মা এবং অন্যান্য আত্মীয়েরা সঙ্গে সঙ্গে যোগেশকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে দেখেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঠিক কী কারণে এই তরুণ আত্মহত্যা করল, তার কারণ খুঁজতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

অন্যদিকে, সাত বছরের প্রেমের সম্পর্ক। সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই চরম পদক্ষেপ তরুণের। প্রেমিকাকে গুলি করে আত্মঘাতী তরুণ। ঘটনাস্থলে তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তরুণী। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুন্দেলখন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রেমিকাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। প্রেমিকাকে গুলি করে খুনের চেষ্টার পরেই সেই বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই তরুণ। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তার প্রেমিকা। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ৯ নভেম্বর দুপুর দু'টো নাগাদ। সাত বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল যুগলের। কিন্তু কোনও বনিবনা ছিল না। ক্রমেই তিক্ততা বাড়ছিল সম্পর্কে। সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণেই প্রেমিকাকে খুনের পরিকল্পনা ছিল যুবকের। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ২৬ বছরের মৃত তরুণের নাম, মণীশ সাহু। গুরুতর আহত তরুণীর নাম, কৃতিকা। দু'জনেই ললিতপুরের বাসিন্দা ছিলেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ পড়ুয়া তরুণী। ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে খাবার খেতে খেতেই দু'জনে গল্প করছিলেন। আচমকাই বন্দুক বের করে গুলি চালাতে শুরু করে মণীশ। কৃতিকার বুকে গুলি করে, এরপর সেই দেশি পিস্তল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। 

স্থানীয়রা তড়িঘড়ি করে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তরুণকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি তরুণী সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় মণীশের সঙ্গে রোমান্টিক একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন কৃতিকা। ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরেই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে। যা ঘিরে এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য। 

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ আরও জানিয়েছে, এক বছর আগেই পরিবারের চাপে অন্য এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় মণীশ। যা ঘিরে কৃতিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। এরপরই মণীশের থেকে দূরত্ব তৈরি করেন কৃতিকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ব্লক করে দেন। এর জেরেই বিয়ের দু'মাস পর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয় মণীশ। তিন মাস আগেই তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। 

সাত বছরের প্রেমের উদযাপনের অজুহাতে শেষবারের মতো কৃতিকার সঙ্গে দেখা করতে চায় মণীশ। তাতে রাজিও হন তরুণী। এরপর ঘটনার দিন দেখা করেই কাছ থেকে গুলি চালিয়ে খুনের চেষ্টা করে সে। হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দু'দিন আগেও তরুণ হস্টেলে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল।