আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লি থেকে প্রয়াগরাজের জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করল এয়ার ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। এই উপলক্ষ্যে গোটা দেশ থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছে। প্রতি ১২ বছর অন্তর হওয়া এই মেলাকে ঘিরে ভক্তদের উৎসাহ তুঙ্গে। এয়ার ইন্ডিয়ার এই বিশেষ বিমান পরিষেবা চালু থাকবে সীমিত সময়ের জন্যেই।
 
 ৪৫ দিন ধরে চলা এই উৎসবে দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর ভক্তরা হাজির হন। তাদের যাতে কোনও ধরণের অসুবিধা না হয় সেজন্য আগে থেকেই তৈরি থাকছে এয়ার ইন্ডিয়া। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকার নিরাপত্তার দিকটি নজরে রেখেছে। ৫৫ টি পুলিশ স্টেশনকে তৈরি করা হয়েছে। ৪৫ হাজার পুলিশকর্মী সারাদিন ধরে নজর রাখছেন।
 
 ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি এয়ার ইন্ডিয়া বিশেষ পরিষেবা চালু করেছে। সেখানে থাকছে দিল্লি থেকে প্রয়াগরাজ এবং প্রয়াগরাজ থেকে দিল্লি উড়ান থাকবে। অনলাইন থেকে শুরু করে অফলাইন সর্বত্রই টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ এবং ট্রাভেল এজেন্টরাও করতে পারেন এই টিকিট বুকিং।
 
 পৌষ পুর্ণিমা থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। এখন সেখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রথম দিনেই ৬০ লক্ষ ভক্ত স্নান করেছেন। এই সংখ্যা আগামীদিনে আরও বাড়বে। তাই আগে থেকেই সতর্ক রয়ছে সকলে।
 
 কুম্ভ মেলার ইতিহাস অষ্টম শতাব্দীর হিন্দু দার্শনিক আদি শঙ্করাচার্যের কাছে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, যিনি আধ্যাত্মিক সন্ন্যাসী এবং তপস্বীদের নিয়মিত সমাবেশে উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি মঠ ব্যবস্থা এবং ১৩টি আখড়া তৈরি করেন। আর সেগুলিকে দেখভালের জন্যে নিয়োগ করেন নির্ভীক সন্ন্যাসীদের, তারাই পরবর্তীতে হন নাগা সন্ন্যাসী।
 
 হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কুম্ভ মেলার উৎস সমুদ্র মন্থন বা মহাজাগতিক মহাসাগর মন্থনের সঙ্গে যুক্ত। যখন দেবতা এবং অসুররা অমৃত লাভের জন্য একত্রিত হয়েছিলেন এবং সেই সময় বিষ কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন মহাদেব। কুম্ভ মেলাকে ঘিরে কার্যত এই ইতিহাসই বর্ণিত হয় বিভিন্ন আখড়ায়।
 
 এদিকে সঙ্গম হল প্রয়াগরাজের গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থল। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কুম্ভ মেলার সময় এই নদীগুলিতে স্নান ভক্তদের পাপ ধুয়ে ফেলবে এবং তাদের মোক্ষ লাভ করতে সহায়তা করবে।
