আজকাল ওয়েবডেস্ক: সিনেমার গল্প নয়। এটাই বাস্তব। এক ব্যক্তি ঘর পরিষ্কার করবার সময় একটি 'হারিয়ে যাওয়া ধন' আবিষ্কার করে। সোনা-গয়না নয়। বরং তিন দশক আগে তাঁর বাবার কেনা পুরনো শেয়ার সার্টিফিকেট। এককালে বাতিল হয়ে যাওয়া কাগজপত্র এখন ৮০ কোটি টাকারও বেশি মূল্য। অপ্রত্যাশিত এই লাভের কথা প্রকাশ করেছেন তিনি।
লোকটির নাম সৌরভ দত্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন যে রেড্ডিটর তার বাড়ি পরিষ্কার করার সময় পঁয়ত্রিশ বছরের পুরনো কিছু নথিপত্রের উপর হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে ধরে নেওয়া হয়েছিল , সেগুলি অকেজো। পরে পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে দেখা গেছে যে সেগুলি ১৯৯০-এর দশকের শেয়ার সার্টিফিকেট। তখন তাঁর বাবার ১ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ ছিল।
জিন্দাল বিজয়নগর স্টিল লিমিটেডে কেনা সেই শেয়ারগুলি। ২০০৫ সালে জেএসডব্লিউ স্টিলের সাথে একীভূত হওয়া এই কোম্পানির একটি উল্লেখযোগ্য রূপান্তর ঘটে। বছরের পর বছর ধরে এর শেয়ারের মূল্য নাটকীয়ভাবে বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।
লোকটির বাবা মূলত কোম্পানির ৫,০০০ শেয়ার কিনেছিলেন। একীভূত হওয়ার পর, সেই শেয়ারগুলি ৮০,০০০ জেএসডব্লিউ স্টিলের শেয়ারে রূপান্তরিত হয়। ২০১৭ সালে (১:১০ অনুপাতে) স্টক বিভাজনের পর, হোল্ডিং ৮ লক্ষ শেয়ারে বৃদ্ধি পায়।
বর্তমানে জেএসডব্লিউ স্টিলের শেয়ার প্রতি দাম প্রায় ১,০০০ টাকা। ফলে এই ভুলে যাওয়া বিনিয়োগের মোট মূল্য এখন ৮০ কোটি টাকা। তবে এখানেই শেষ নয়। বছরের পর বছর ধরে জেএসডব্লিউ স্টিলের দেওয়া লভ্যাংশ মোট রিটার্নকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
এই গল্পটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়। ব্যবহারকারীরা একাধারে অভিনন্দন জানাচ্ছেন৷ আবার কেউ কেউ প্রশ্ন এবং কর পরামর্শের জন্য চিৎকার করছেন। একজন ব্যবহারকারী রসিকতা করে বলেছেন, 'এই ৮০ কোটি টাকার উপর আপনাকে ৩০% কর দিতে হবে।' আরেকজন স্মৃতিচারণ করেছেন, '১৯৯৩ সালে আমার বাবা প্রতি মাসে ৮০০ টাকা আয় করতেন, তাই তখন ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের অর্থ ছিল, আপনি অতি ধনী।' শেয়ার মূল্যের এই নাটকীয় বৃদ্ধির জন্য দায়ী মূলত কিছু কর্পোরেট বিনোদন। ২০০৫ সালের একীভূতকরণের ফলে জিন্দাল বিজয়নগর স্টিলের শেয়ারহোল্ডারদের ধারণকৃত প্রতি ১টির জন্য ১৬টি জেএসডব্লিউ স্টিলের শেয়ার পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালের স্টক বিভাজনের ফলে শেয়ারের সংখ্যা দশগুণ বেড়ে যায়। ফলে দত্তের মতো উত্তরাধিকারী হোল্ডিংয়ের মূল্য নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়।
