আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘুটঘুটে অন্ধকার। রাস্তায় মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন একজন। আচমকা তার উপরে ঝাপিয়ে পড়ল কেউ। জ্বলজ্বলে চোখ। কিছু বলার আগে, স্তম্ভিত করে দিয়ে আবার দৌড়। কে? কোথা থেকে আক্রমণ? নানা প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মিলেছে।  মোটরবাইকের পিছনে থাকা গাড়ির ড্যাশক্যামে ধরা পড়েছে সবটা। দেখা গিয়েছে, একটি চিতাবাঘ আচমকা ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই মোটরবাইকের উপর। 

ভাবনা বাড়াচ্ছে ঘটনাস্থল। কারণ সাম্প্রতিকতম এই ঘটনাও ঘটেছে সেই অন্ধ্রেই। অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি এবং তার আশেপাশের এলাকায় সম্প্রতি চিতাবাঘ দেখা যাওয়ায় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বেড়ে গেছে ইদানিং। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ৭টার দিকে আলিপিরির জু পার্ক রোডে এই ঘটনা ঘটে যখন বড় বিড়ালটি হঠাৎ দ্রুতগামী গাড়ির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

 

আরও পড়ুন: ঘন ঘন বিদেশ আসা-যাওয়া, অন্তত ৩০০ কোটির জালিয়াতি, ‘আমিই রাষ্ট্রদূত’ বলা হর্ষবর্ধনের গোপন কুকীর্তি জানলে আঁতকে

মোটরসাইকেলের ঘটনার ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ না করা হলেও, বন বিভাগ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং মানুষ এবং চিতাবাঘের এই আচমকা সাক্ষাৎ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে ইদানিং কালে বন্য প্রাণীদের মাঝে মাঝেই বনাঞ্চলের বাইরে বেরিয়ে আসার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে নগরায়ন এবং খাদ্যসঙ্কটের বিষয়টি। 

জানা গিয়েছে, শুক্রবারেই মধ্যরাতের দিকে, অরবিন্দ চক্ষু হাসপাতালের কাছে স্থানীয়রা আবার একটি চিতাবাঘ লোকচক্ষুর গোচরে আসে।  ঘটনার পরেই স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক আরও তীব্র হয়।

জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় ক্রমবর্ধমান হারে চিতাবাঘের দেখা মেলার পর, বন বিভাগের কর্মকর্তারা এলাকায় কমপক্ষে তিনটি চিতাবাঘের উপস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং ধরার সুবিধার্থে, তিনটি ভিন্ন স্থানে কৌশলগতভাবে ১৪টি ট্র্যাপ ক্যামেরা এবং টোপ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের কলাবাড়ি চা বাগানের হোলাস লাইন এলাকায় চিতাবাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয় মাত্র আড়াই বছরের শিশু আয়ুব ওরাও-র।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার, ১৮ জুলাই সন্ধেয় বাড়ির গেটের সামনে খেলছিল আয়ুব। ঠিক সেই সময় হঠাৎ করেই একটি চিতাবাঘ তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় বাঘটি। ভয়াবহ এই ঘটনা চোখে পড়ে এক স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তির। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন এলাকার প্রতিবেশীরা।খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আতঙ্কে ভেঙে পড়ে শিশুর পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত শুরু হয় তল্লাশি। স্থানীয় বাসিন্দারা ও চা বাগানের শ্রমিকেরা দল বেঁধে বিভিন্ন অংশে খোঁজাখুজি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর চা বাগানের ১৮ নম্বর সেকশনে শিশুটির নিথর দেহ উদ্ধার হয়।

দিনকয়েক আগে আবার একেবারে অন্যরূপে ধরা দিয়েছিল একটি লেপার্ড অর্থাৎ চিতাবাঘ। কী সেই অন্যরূপ? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অফিসার পরভীন কাসওয়ান লেপার্ডের ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন। সেখানেই লেপার্ডটিকে মানুষের মতো আচরণ করতে দেখা গেছে।ভিডিওতে দেখা গেছে, জঙ্গলের মধ্যে ধীরে সুস্থে রাস্তা পার করছে চিতাবাঘটি। হঠাৎ তার চোখে পড়ে একটি ইম্পালা। এটি এক প্রজাতির হরিণ। বহুদূরে ছিল সেই হরিণটি। ঠিক মতো দেখার জন্য খানিকটা এগিয়ে যায় লেপার্ডটি। খাবারের খোঁজে এরপর সে দু'পায়ে ভর দিয়ে বসে পড়ে। কয়েক সেকেন্ড পরেই পিছনের দু'পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সে। ঠিক একেবারে মানুষের মতো।