আজকাল ওয়েবডেস্ক: মা, ভাই, প্রেমিকা-সহ ছ’ জনকে খুন করেছে। থানায় পৌঁছে নিজেই স্বীকার করলেন সেকথা। সঙ্গেই জানালেন কারণ, বিবরণ দিলেন হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডের। পুলিশ তদন্ত করে পাঁচজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ওই যুবকের মা জীবিত রয়েছেন।
কিন্তু আচমকা কেন এই ভয়াবহ ঘটনার সিদ্ধান্ত? যুবক জানিয়েছে, ব্যবসায় প্রচুর দেনা, সাহায্য চেয়েছিল নিকটজনেদের কাছে। কিন্তু কেউই তার আবেদনে আমল দেয়নি সেভাবে। সেই কারণেই নাকি শিউরে ওঠা, ভয়ঙ্কর হত্যার পরিকল্পনা।
ঘটনাস্থল কেরল। তিরুবন্তপুরমের এক ২৩ বছরের যুবক, সোমবার থানায় গিয়ে জানায়, সেএকদিনে খুন করেছে ছ’ জনকে। যুবকের নাম আফান। জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ছ’টা থেকে দশটার মধ্যে পরপর খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সে। কয়েকঘণ্টায় তারজন্য ঘুরে বেড়িয়েছে পরপর কয়েকটি গ্রাম।
পুলিশ জানাচ্ছে, আফান সোমবার সকালে খুন করে দিদাকে। পানগোড়ে খুনের ঘটনা ঘটিয়েই যান অন্য গ্রামে। সেখানে কাকু-কাকিমাকে খুন করে। শেষে যায় নিজের বাড়িতে। মা, ভাই, প্রেমিকাকে খুনের চেষ্টা করে। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁর মা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। যদিও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আফানের এর আগে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল না।প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, পরপর এই হত্যা কাণ্ডের পিছনে রয়েছে আর্থিক কারণ। যুবক নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সফল না হয়ে, শেষ থানায় গিয়ে জানায় ঘটনা।
