আজকাল ওয়েবডেস্ক: খেলার সময় গালে আঘাত পেয়েছিল শিশুটি। তারপরই চিকিৎসার জন্য শিষশুটিকে তার বাবা-মা দ্রুত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানকার কর্তব্যরত নার্স  সাত বছর বয়সী ওই শিশুর মুখের ক্ষত সেলাইয়ের পরিবর্তে ফেভিকুইক দিয়ে জুড়ে দেন!  অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি গত ১৪ জানুয়ারি কর্নাটকের হাভেরি জেলার আদুর গ্রামের একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। 

ফেভিকুইক দেওয়ার ফলে শিশুর গালে সংক্রমণ ছড়ায়। এরপর শিশুটির বাবা-মা পুরো বিষয়টি জানিয়ে সমাজমাধ্যমে ছেড়ে দেন। যা নিয়ে হইহই পড়ে যায়। পদক্ষেপ করে কর্নাটকের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। ওই নার্সকে বরখাস্ত করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের কমিশনারের তরফে জারি করা
এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, 'যে জোরালো আঠা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেটি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য নয়।  অনুমোদন নেই। এ ক্ষেত্রে নার্স সেই আঠাই ব্যবহার করেছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

শিশুর গালের ক্ষত সারেতে কেন সেলাইয়ের বদলে জোরাল আঠা ফেভিকুইক ব্যবহার করলেন ওই নার্স? জবাবে তিনি জানিয়েছেন যে, সেলাই করলে গালে দাগ থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু আঠা দিয়ে জুড়ে দিলে সেই দাগ বোঝা যাবে না।