আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরীক্ষার চাপ সহ্য করতে পারেনি কিশোরী। ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করল৷ গ্রেটার ফরিদাবাদের সেক্টর ৮৮-এ ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (জেইই)-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ১৭ বছরের এক কিশোরী। কিন্তু পরীক্ষার চাপ, দিনের পর দিন হতাশা সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে। জানা গিয়েছে, আদর সোসাইটির দশ তলা থেকে ঝাঁপ দেয় সে। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কিশোরী বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করার চাপই এই করুণ পরিণতির প্রাথমিক কারণ। যদিও পুলিশ তার কাছ থেকে কোনও 'সুইসাইড নোট' বা কোনওরকম সংকেত পায়নি।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরী তার মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সোসাইটির তিন তলার ফ্ল্যাটে থাকত। তার বাবা কর্মসূত্রে কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। ঘটনার দিন, অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় তার মা এবং ভাই কিছু সময়ের জন্য বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে সে লিফ্ট ধরে তিন তলা থেকে সোজা দশ তলায় ওঠে, তারপর সেখান থেকে নিচে ঝাঁপ দেয়।

সোসাইটির গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষী প্রথমে জোরে কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পান। এরপর ছুটে গিয়ে দেখেন, মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। তিনিই সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশের তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, কিশোরী গত বছর দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় খুব ভালো ফল করেছিল, তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৫ শতাংশ। কিন্তু এরপরে 'জেইই মেন' পরীক্ষা দিয়ে সে সফল হতে পারেনি। এই ব্যর্থতা থেকেই তার ওপর মানসিক চাপ তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, এরপর তার বাবা-মা তাকে দিল্লির একটি হাসপাতালে 'ডিপ্রেশনের'  চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন।

এক পুলিশ অফিসার বলেন, "ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরেই অবসাদের জন্য চিকিৎসাধীন ছিল। JEE-এর প্রাক-পরীক্ষায় পাশ করতে না পারার কারণে সে প্রচণ্ড চিন্তায় ছিল। আবার নতুন করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।"