আজকাল ওয়েবডেস্ক: উপত্যকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয়েছে ক্রিকেটারের। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য এলাকায়। ইতিমধ্যে ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। আর তাতেই শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন।

 ফরিদ হুসেন । জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার। ২০ আগস্ট, সড়ক দুর্ঘটনার প্রাণ যায় তাঁর। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে সামনে এসেছে সেদিনের দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। তাঁতেই ধরা পড়েছে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা। কী দেখা গিয়েছে তাতে? সূত্রের খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ফরিস যাচ্ছিলেন স্কুটারে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল একটি চারচাকা গাড়ি। আচমকা ওই গাড়ির দরজা খুলে যায় ওই জায়গায়। আচমকা দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির দরজা খুলে যাওয়ায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ কিংবা গাড়ি থামানোর সুযোগই পাননি ফরিদ। ফলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যায় চোখের নিমেষে। নিজের স্কুটার থেকে চোখের নিমেষে ছিটকে পড়েন তিনি। 

আরও পড়ুন: পা পিছলে গেলেই সর্বনাশ! তবুও খরস্রোতা নদীর ওপর পাথর টপকে টপকে ভ্যাকসিন দিতে যান নার্স, 'স্যালুট' জানালেন সকলে

তাঁকে উদ্ধার করে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার মৃত্যু হয় ফরিদ হুসেনের। সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পর জোর চর্চা শুরু হয়। নেটিজেনরা চর্চা শুরু করেন, কীকরে মাঝরাস্তায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। 

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 22, 2025

ফরিদের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিড়া জগতে শোকের ছায়া। জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। হুসেন স্থানীয় এলাকায় যথেষ্ট পরিচিত, জনপ্রিয় খেলোয়াড় ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি ওই অঞ্চলের অনেক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। স্থানীয় ক্রিকেট সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনি ধীরে ধীরে নিজের জন্য একটি নাম তৈরি করে চলেছিলেন। অনেকের কাছে একজন পরিশ্রমী এবং প্রতিভাবান ক্রিকেটার হিসেবে বর্ণনা করা হলেও, তার ক্যারিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে ছিলেন। তবে তাঁর মধ্যে বিপুল সম্ভাবনা দেখেছিলেন স্থানীয়রা, জানা গিয়েছে তেমনটাই। 

 

এর আগেও, ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঘটনা সামনে এসেছে সোমবার। উত্তরপ্রদেশে পুজো দিতে যাওয়ার পথেই মর্মান্তিক পরিণতি হল পরপর পুণ্যার্থীর। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোররাতে। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে একটি ট্রাকের সঙ্গে ট্র্যাক্টর ট্রলির সজোরে সংঘর্ষ হয়। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪৩ জন। অনেকেরই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৃতদের মধ্যে দুজনের বয়স দুই বছরের কম। আহতদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ১৮ বছরের কম।‌ তারা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

 

পুলিশ আধিকারিক দীনেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, অরনিয়া বাইপাসের কাছে বুলন্দশহর- আলিগড় সীমান্তের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রাকটি ট্র্যাক্টর ট্রলির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের পর ট্র্যাক্টর ট্রলিটি উল্টে যায়। ওই ট্র্যাক্টর ট্রলিতে ৬১ জন ছিলেন। কসগঞ্জ জেলার রফতপুর গ্রাম থেকে তাঁরা প্রত্যেকেই রাজস্থানের জাহারপীরের দিকে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার জেরে ঘটনাস্থলেই আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪৩ জন। আহতদের মধ্যে তিনজন ভেন্টিলেশনে সার্পোটে রয়েছেন। 

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দশজনের চোট গুরুতর নয়। আলিগড় মেডিক্যাল কলেজে দশজন, বুলন্দশহর জেল হাসপাতালে আরও দশজন এবং খুরজার কৈলাশ হাসপাতালে ২৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মৃতদেহগুলি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ট্রাকটি হরিয়ানার।‌ চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, নাকি বেপরোয়া গতিতে চলছিল, তা ঘিরে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।