আজকাল ওয়েবডেস্ক: সপ্তাহে কাজের সময় নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এসবের মধ্যেই সামনে এলো আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক চাকররি প্রার্থী নিজের সিভি-তে তাঁর গিটার বাজানো ও ম্যারাথনে দৌড়ানোর শখের কথা লিখেছিলেন। ফলে যথেষ্ট দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও এই প্রার্থীকে নিয়োগ করেননি সংস্থার কর্ণধার। ঘটনাটি বেশ কয়েক বছর আগের হলেও বর্তমান কাজের সময় বিতর্কের মধ্যে বেশ প্রাসঙ্গিক। 

ব্রিটেনে ম্যাগাজিন ট্যাটলার এশিয়ার সিওও পারমিন্দর সিং সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে ঘটনাটি শেয়ার করছেন। লিখেছেন, "আমি তখন সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক একটি সংস্থায় উচ্চপদে কর্মরত ছিলাম। সেই সংস্থার মালিক ছিলেন এক ভারতীয়। একবার একজন চাকরি প্রার্থী ওই সংস্থার জন্য ভারতে, মার্কেটিং পদে কাজের জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি যথেষ্ট দক্ষ মার্কেটার ছিলেন। সঙ্গে তাঁর সিভি-তে উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি ম্যারাথন দৌড়ান এবং গিটার বাজান। যা দেখে আমার সেই সময়কার মালিক ওই প্রার্থীকে নিয়োগ করেননি। জানতে চেয়েছিলেন যে, এই ব্যক্তি এত কিছু করলে কখন কাজ করবে?" 

ওই ঘটনার জন্য এখন দুঃখপ্রকাশও করেছেন পারমিন্দর।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">January 10, 2025

কর্মীদের প্রতি সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা করে কাজ করার নিদান দিয়েছেন এলঅ্যান্ডটি-র চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যম। এমনকী রবিবারেও স্ত্রীর সঙ্গে সময় না কাটিয়ে অফিসে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্যকে ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। পারমিন্দর সিং-য়ের কথায়, ভেবেছিলাম যে এই ধরনের সব ভাবনা আর নেইয যুগ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে বস্তাপচা কাজের ধারনার ইতি ঘটেছে। কিন্তু, এখন বোঝা যাচ্ছে, ভাবনার বদল ঘটেনি।

পারমিন্দর গুগলের কর্মী নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। বলেছেন, "বেশ কয়েক বছর আগে আমি সেই চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে পারিনি। ফলে আমি দুঃখিত, অনুতপ্ত। আমি ভারত থেকে দূরে আছি। ধরে নিয়েছিলাম যে সবকিছু বদলে গিয়েছে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সব একই রয়ে গিয়েছে।। গুগলে কর্মী নিয়োগের কথা এঁরা জানে বলে মনে হয় না। সেখানকার অলিখিত নীতি হচ্ছে, যদি কেউ অলিম্পিকে অংশগ্রহণের দক্ষতা অর্জন করেন, তাহলে তিনি গুগলে চাকরির আবেদন করেলে তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পেতে পারেন। দক্ষতার শ্রেষ্ঠত্বই সেখানে বিবেচ্য।"

এলঅ্যান্ডটি-র চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যম নিদানের বিরুদ্ধে অবশ্য সরব হয়েছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা, হর্ষ গোয়েঙ্কা, আদর পুনাওয়ালা-র মতো এ দেশের শিল্পপতিরা।