আজকাল ওয়েবডেস্ক :ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, ইদ উল আযহা ধুল হিজ্জার ১০ তারিখে, যা হিজরি ক্যালেন্ডারের শেষ মাস।
ইদ উল আযহা বকরিদ বা বকরি ইদ নামেও পরিচিত। ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। চাঁদ দেখার সাপেক্ষে, ৭ জুন, ২০২৫ তারিখে ভারতে উদযাপিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই উৎসব বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য প্রতিফলন, ত্যাগ, দানশীলতা আর উদযাপনের একটি সময়কে চিহ্নিত করে।
ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে ইদ উল আযহা হিজরি ক্যালেন্ডারের শেষ ধুল হিজ্জা মাসের ১০ তারিখে পড়ে। বকরি ইদের একদিন আগে। ৬ জুন, শুক্রবার আরাফাত দিবস (ইয়াওম আল-আরাফা) পালিত হবে। এটি ইসলামী বছরের সবচেয়ে পবিত্র দিন হিসেবে বিবেচিত , যা মক্কায় বার্ষিক হজযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত।
ইদ উল আযহা কোরানে বর্ণিত নবী ইব্রাহিম (আঃ)-এর আল্লাহর প্রতি অটল ভক্তির কাহিনীকে স্মরণ করে। ইসলামী বিশ্বাস, ইব্রাহিমকে স্বপ্নে তাঁর পুত্র ইসমাইল কে ঈমানের পরীক্ষা হিসেবে উৎসর্গ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে ঈশ্বর হস্তক্ষেপ করেন। শিশুটির পরিবর্তে একটি ভেড়া স্থাপন করেন, যা ঐশ্বরিক করুণা এবং আনুগত্যের প্রতীক।
মুসলিমরা ঐতিহ্যগতভাবে ছাগল, ভেড়া বা উটের মতো পশু বলি দেন। সেই মাংস পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অভাবীদের মধ্যে বিতরণ করেন। এই কারণেই ভারতে এই উৎসবকে সাধারণত বকরি ইদ বলা হয়।
ইদের সকালে মুসলমানরা মসজিদে বিশেষ নামাজের জন্য সমবেত হন। এরপর কুরবানী করা হয়। দিনটি খাদ্য ভাগাভাগি, শুভেচ্ছা বিনিময় আর দরিদ্রদের সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়। এটাই ইসলামী মূল্যবোধ।
এই উৎসবটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হজ্জের সমাপ্তির সঙ্গেও মিলে যায়। যারা হজ্জে যান না তাদের জন্য, ইদ উল আযহা ব্যক্তিগত বিশ্বাস, ঐক্য এবং ত্যাগের প্রতিফলন।
