আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের বৃহত্তম সংশোধনাগারে একমাত্র মহিলা মনোবিজ্ঞান ইন্টার্ন হওয়ার অনুভূতি কেমন? গাজিয়াবাদের একজন প্রশিক্ষণার্থী সেই বিষয়ে একটি পোস্ট লিঙ্কডইনে এখন ভাইরাল।

গাজিয়াবাদের একজন মনোবিজ্ঞান ইন্টার্ন দিল্লির তিহাড় জেলের ভিতরে পুরুষ ইউনিটের একমাত্র মহিলা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে দুই সপ্তাহ কাজ করতে গিয়ে কী কী পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল তা শেয়ার করেছেন।

লিঙ্কডইনে একটি বিস্তারিত পোস্টে, দিয়া কাহালি দিল্লির তিহাড় জেল কমপ্লেক্সে তাঁর দুই সপ্তাহের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন সেই অভিজ্ঞতাটি ছিল 'মারাত্মক'। তাঁর পোস্টে পুরুষদের জন্য একটি সংশোধনাগারে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করা বিভিন্ন স্তর প্রকাশ পেয়েছে।

জেলের মধ্যে উপস্থিত মাত্র দু'জন মহিলার মধ্যে একজন ছিলেন দিয়া। তিনি লিখেছেন, "বেঁচে থাকা এবং সমৃদ্ধি: তিহাড় জেল কমপ্লেক্সে একজন মনোবিজ্ঞান প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে এটাই আমার উপলব্ধি।" তাঁর দৈনন্দিন কাজের মধ্যে ছিল বন্দীদের সঙ্গে কথা বলা, মনস্তাত্ত্বিক প্রতিবেদন তৈরি করা এবং ডাক্তারদের সেশনের মুখোমুখি হওয়া। তিনি আরও লিখেছেন, ''আপনি একই সঙ্গে অতি-দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য।''

তাঁর মতে, তিহাড়ের ইন্টার্নরা কোনও কাঠামোগত ম্যানুয়াল পান না। দিয়া লিখেছেন, "আপনাকে দিক নির্দেশনা চাইতে হবে। প্রতিটি পদক্ষেপ যাচাই করতে হবে এবং প্রয়োজনে একজন প্রহরীকে অনুরোধ করতে দ্বিধা করবেন না।" তিনি কথা বলার সময় হিন্দিতে সাবলীল থাকার ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন। 

দিয়া আরও জানিয়েছেন, যেমনটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, সব বন্দী খোলাখুলি কথা বলতে পারতেন না। কেউ কেউ চুপ করে থাকতেন, আবার কেউ কেউ সন্দেহপ্রবণ ছিলেন। তাঁর পরামর্শ,  "মাথা ঠান্ডা রাখো, আত্মবিশ্বাসী থাকো, এবং কখনওই অসতর্ক হবে না, সাহস হারাবে না।" প্রাথমিকভাবে কিছুটা স্নায়ুর চাপ থাকা সত্ত্বেও, ঊর্ধ্বতন পুলিশকর্মীদের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত সহযোগীতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দিয়া।

ভবিষ্যতে যাঁরা তিহাড়ে ইন্টার্নশিপ করতে যাবেন, তাঁদের পরামর্শও দিয়েছিনে তিনি। ইন্টার্নশিপটি কি কঠিন ছিল? উত্তরে দিয়া জানিয়েছেন, অবশ্যই। কিন্তু ক্লাসরুমে বসে এই অভিজ্ঞতা লাভ করা যায় না।