আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরলের ত্রিসূরে নিজের বৃদ্ধা মাকেই খুন। ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে। মুন্ডুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা থানকামণিকে একটি সোনার চেনের জন্য খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই খুনের ঘটনায় তাঁর মেয়ে সন্ধ্যা (৪৫) এবং মেয়ের সঙ্গী নিতিনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হতেই হুলুস্থুল। 

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে থানকামণির মৃত্যুকে নিছক দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হয়েছিল। গত রবিবার তাঁর বাড়ির পিছনে দেহটি পাওয়া যায়। মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল, তাই মনে করা হয়েছিল হয়তো পড়ে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নিশ্চিত হওয়া যায়, তাঁকে খুন করা হয়েছে।

পুলিশ তদন্ত শুরু করলে, স্থানীয় প্রতিবেশীরা এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। থানকামণি সবসময় যে সোনার চেনটি পরে থাকতেন, সেটি তাঁর গায়ে ছিল না। পুলিশ তখন থানকামণির মেয়ে সন্ধ্যাকে জেরা করা শুরু করে। জানা গিয়েছে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সন্ধ্যা তার মায়ের কাছেই থাকত। এরপর তার সঙ্গে স্থানীয় যুবক নিতিনের সম্পর্ক হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সন্ধ্যা স্বীকার করে, নিতিনকে টাকা দিয়ে সাহায্য করার জন্য সে মায়ের কাছে সোনার চেনটি চেয়েছিল। মা তাতে রাজি হননি। এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। সেই ঝগড়া একসময় হাতাহাতিতে পৌঁছয়। অভিযোগ, রাগের মাথায় সন্ধ্যা তাঁর মায়ের গলা টিপে ধাক্কা মারে। ধাক্কা খেয়ে থানকামণি মাটিতে পড়ে যান।  মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বৃদ্ধা। পুলিশের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে সন্ধ্যা এবং নিতিন মিলে চেষ্টা করে যেন সবাই এই ঘটনাকে একটি দুর্ঘটনা ভাবে। পুরো ঘটনা প্রথমে না জানার ভানও করে তারা। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং মৃতদেহ থেকে গায়েব হয়ে যাওয়া সোনার চেনের সূত্রে ধরে পুলিশ মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করে। এর পরই জেরা চলাকালীন দু'জনই ভেঙে পড়ে এবং খুনের কথা স্বীকার করে।

পুলিশ সন্ধ্যা এবং নিতিনকে হেফাজতে নিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।