আজকাল ওয়েবডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে সম্প্রতি এক ভয়াবহ কাণ্ড। ঘটনাটি সিরমৌর জেলায় ঘটেছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি তাঁর নিজের মা'কে হত্যা করে তাঁরই বাড়ির পাশের এক মাঠে পুঁতে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ মঙ্গলবার জানিয়েছে যে অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ আরও জানায় তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে চাডেচ গ্রামে। গ্রামটি হিমাচলের সারাহান গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এবং পচ্ছাদ সাব-ডিভিশনের অধীনে। নিহত প্রৌঢ়ার নাম জয়মন্তী দেবী। তাঁর বয়স আনুমানিক ৫১ বছর। জয়মন্তী দেবী গত শনিবার রাতে খুন হন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তাঁর ছেলে অভিযুক্ত পুষ্প কুমার প্রথমে নিজেই স্থানীয় থানায় গিয়ে তাঁর মায়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
তবে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে যে, পুষ্প কুমারের বোন এবং স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা শুরু থেকেই তাঁর ওপর সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁরা পুলিশকে জানান, পুষ্প প্রায়শই তাঁর মায়ের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতপার্থক্যের জেরে ঝগড়া ঝামেলা করতেন। এহেন পারিবারিক কলহ তাঁদের মধ্যে লেগেই থাকত।
এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে পুষ্প কুমার স্বীকার করেন যে, শনিবার সন্ধ্যায় ভারী বৃষ্টির মধ্যে এক পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাঁর মায়ের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। সেই সময় তিনি একটি ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে মায়ের মাথা, হাত এবং শরীরের অন্যান্য অংশে আঘাত করেন। এরপর তিনি জয়মন্তী দেবীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ের মৃত্যুর পর অভিযুক্ত পুষ্প কুমার অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে নিজেই তাঁর মায়ের মৃতদেহ গায়েব করেন। প্রায় ১০০ মিটার দূরে তাঁদের বাড়ির কাছের একটি মাঠে পুঁতে রাখেন মৃতদেহ। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় জয়মন্তী দেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে মঙ্গলবার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর সত্য প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুনঃ অটো করে পাঁচতারা হোটেলে রাজকীয় প্রবেশ! যুবকের আচরণে হাঁ সবাই, এরপর যা হল জানলে ভিরমি খাবেন
ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত পুষ্প কুমারের বাবা লাচ্চি কুমার মাত্র দুই মাস আগে মারা গিয়েছিলেন। সূত্রে জানা গিয়েছে , এর আগেও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে পুষ্প কুমারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
বর্তমানে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে রাজগড়ের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ ভি সি নেগি জানিয়েছেন। পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিন প্রৌঢ়া, কয়েক মুহূর্তে চরম পরিণতি তাঁদের! অসমে হাড়হিম কাণ্ড
