আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাইনিকেন, ডিয়াজিও, পারনো রিকার্ড-সহ (বিয়ার) একাধিক বহুজাতিক সংস্থার প্রতিনিধিত্বকারী তিনটি সংস্থা তেলেঙ্গানা সরকারকে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, বকেয়া ২,৯৮৫কোটি টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হোক। এই বকেয়া আর সহ্য করা হবে না। দ্রুত টাকা না মেটালে সরবরাহে সংকট তৈরি হবে, বন্ধ হবে ব্যবসাও।
তেলঙ্গানা ভারতের অন্যতম বড় মদ্যপানকারী বাজার। কিন্তু সেই বাজারেই আস্থিরতা সৃষ্টি করছে রাজ্য সরকার। মদ সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন বকেয়া টাকা মেটাচ্ছে না বলে অভিযোগ। বকেয়া না মেটানোয় চলতি বছর জানুয়ারিতে হাইনিকেনের সহযোগী সংস্থা ইউনাইটেড ব্রুয়ারির কিংফিশার বিয়ারের সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
১২ নভেম্বর রাজ্য সরকারকে পাঠানো বহুজাতিক সংস্থার প্রতিনিধিত্বকারী তিনটি সংস্থার চিঠি অনুসারে, ২০২৪ সালের মে মাস থেকে বকেয়া পাওনা রয়েছে। উৎসবের মরশুমে মদের চাহিদা ৭৫ শতাংশ বেড়ে যায়। ঠিক তার আগে রাজ্য সরকারের উদাসীন মনোভাব মদ শিল্পের উপর আর্থিক চাপ তৈরি করছে। ব্রিউয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া, কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যালকোহলিক বেভারেজ কোম্পানিজ এবং ইন্টারন্যাশনাল স্পিরিটস অ্যান্ড ওয়াইনস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে রাজ্যকে ২,৯৮৫কোটি টাকা দ্রুত মেটানোর বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
মদ সংস্থাগুলি চিঠিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে লিখেছে, "পুরনো বকেয়া না মেটানো এবং চলতি বিল দেরিতে মেটানোর কারণে শিল্পের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। অনেক সংস্থা হয়তো চালানোই সম্ভব হবে না। আর্থিক সংস্থান ফুরিয়ে এসেছে।"
এই চিঠি নিয়ে বারবার প্রশ্ন পাঠানো হলেও কোনও উত্তর দেয়নি তেলেঙ্গানা সরকার। হাইনিকেন, ডিয়াজিও, পারনো রিকার্ড-এর তরফেও কেউই মুখ খোলেনি।
তেলঙ্গানার মতো অনেক রাজ্যেই মদ কোম্পানিগুলিকে কেবল রাজ্য পরিচালিত ডিপোতে পানীয় সরবরাহ করতে হয়, যা পরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। যার ফলে কোম্পানিগুলিকে অর্থ পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হতে হয়।
ভারতের মদ শিল্পকে ঘিরে নিয়মকানুন ক্রমশ কঠোর হচ্ছে। বিজ্ঞাপনে বাড়তি নিয়ন্ত্রণ, প্রতিযোগিতা কমিশনের তদন্ত- এই সব মিলিয়ে মদের বাজারেও চাপ বাড়ছে। তার মধ্যেই বকেয়া বিতর্ক পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক করে তুলছে।
