আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তর বঙ্গোপসাগরে টহল অভিযানের সময় ভারতীয় কোস্ট গার্ডের জাহাজ ‘অমৃত কৌর’ আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমানা রেখা বরাবর নজরদারি চালাচ্ছিল অন্যান্য দিনের মতোই।
হঠাৎই, টহলদারির সময় তাঁদের রাডারে ধরা পড়ে একটি সন্দেহজনক মাছ ধরার নৌকা। জানা গিয়েছে, নৌকাটি ভারতীয় জলসীমার ভিতরে ঢুকে বারবার দিক পরিবর্তন করে পালানোর চেষ্টা করছিল।
সেই মুহূর্তেই কোস্ট গার্ডের জাহাজ নৌকাটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। কাছাকাছি গিয়ে দেখা যায়, নৌকাটি ছিল একটি বাংলাদেশি ফিশিং বোট।
যার ভিতরে ছিলেন ২৮ জন বাংলাদেশি জেলে। তাঁরা কোনও ধরনের অনুমতি ছাড়াই ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (EEZ) সক্রিয়ভাবে মাছ ধরছিল।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে ‘Maritime Zones of India (Regulation of Fishing by Foreign Vessels) Act, 1981’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এরপর কোস্ট গার্ডের বোর্ডিং টিম নৌকায় উঠে তল্লাশি চালায়। তদন্তে ধরা পড়ে, নৌকায় থাকা কোনও জেলের কাছেই ভারতের সামুদ্রিক সীমানায় মাছ ধরার বৈধ কাগজপত্র বা অনুমতি নেই।
জাল, সরঞ্জাম এবং সদ্য ধরা মাছ থেকেই নিশ্চিত হয় যে তারা অবৈধভাবে মাছ ধরছিল। নিরাপত্তা বিধি মেনে বাংলাদেশি নৌকাটিকে আটক করে নামখানা মৎস্য বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে ওই বাংলাদেশি নৌকা ও ২৮ জন জেলেকে মেরিন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য।
কোস্ট গার্ড সূত্রের খবর, এই সপ্তাহে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা আটক করল ভারতীয় কোস্ট গার্ড। যা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট।
বঙ্গোপসাগর দিয়ে ক্রমাগত ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। তবে ভারতের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় উপকূলরক্ষী বাহিনী বিধিনিষেধ আরও কড়া করেছে ইতিমধ্যেই।
কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা নৌ ও বিমান টহল অব্যাহত রয়েছে। দেশের সামুদ্রিক সীমানা সুরক্ষা, অবৈধ মাছ ধরা বন্ধ এবং ভারতীয় জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নজরদারি এভাবেই জোরদার রাখা হবে।
