আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাশকতা, হামলার ছক। ‘অপরাধী নিজেদের চিহ্ন ছেড়ে যায়’ প্রবাদকে মিথ্যে প্রমাণ করতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারও করেছিল। সূত্রের খবর, নিজেদের কোনও ছাপ ছেড়ে না রাখতে অটো ডিলিট অ্যাপ ব্যবহার করেছিল তারা। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। সূত্রের খবর গুজরাট পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে। 

গুজরাটের সন্ত্রাস দমন স্কোয়াড, এটিএস জানিয়েছে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের শাখা আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট-এর হয়ে ওই চারজন দীর্ঘদিন ধরে গুজরাটে নাশকতার ছক কষছিল। 

আরও পড়ুন: তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে বাংলা কবিতাতেই তোতলালেন সুকান্ত! ভিডিও পোস্ট তৃণমূল নেতার, হাসছেন নেটিজেনরা

এটিএস জানিয়েছে, ওই চার যুবকের বয়স ২০ থেকে ২৫-এর মধ্যে। দু’ জনকে আমেদাবাদ থেকে, একজনকে নয়ডা থেকে এবং একজনকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছে গুজরাট পুলিশ। নাম জানানো হয়েছে-মহম্মদ ফাইক, মহম্মদ ফারদিন, সইফুল্লা কুরেশি এবং জিশান আলি। 

গুজরাট এটিএস অফিসাররা জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। তারা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আল-কায়েদার সংস্পর্শে এসেছিল বলেও জানা গিয়েছে। এর আগেও এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যে, ওই জঙ্গি সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্যদের সংস্পর্শে আসে। আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর জন্য দিনে দিনে অতি তৎপর হয়ে উঠছে, বছরখানেক আগে সেই তথ্যও দিয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ।

রাজ্যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করার পর এই চারজন এটিএসের র‍্যাডারে আসে। গুজরাট এটিএস জানিয়েছে যে তারা ওই চারজনের বিভিন্নজনের সঙ্গে কথোপকথনের চ্যাট এবং সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলির কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করছে।

আরও পড়ুন: দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি কি নীতীশ? ধনখড়ের ইস্তফার পরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু! বিজ্ঞপ্তি

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আল-কায়দা আদতে কী? কীভাবে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অভ্যুত্থান? তথ্য, আল-কায়েদা আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের জন্য ওসামা বিন লাদেনের পরামর্শদাতা শেখ আবদুল্লাহ আযযাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাখতাব আল-খিদামত থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। আল-কায়েদা, এর সহযোগী এবং এই গোষ্ঠী দ্বারা অনুপ্রাণিত ব্যক্তিরা আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় হামলার পরিকল্পনা, নাশকতার ছক কষেছে বলে তথ্যও। 

১৯৯১ সাল পর্যন্ত আল-কায়েদা আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের পেশোয়ারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের শেষের দিকে, এটি বিন লাদেন এবং আফগানিস্তানের সন্ত্রাসী সহযোগীদের দ্বারা তালেবানদের সুরক্ষায় পরিচালিত হয়েছিল।তালিবানে ক্ষমতা দখলের পর, আরও হাজার হাজার নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি হয় বলে জানানো হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে।