আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যপালের তরফ যে সব বিল রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হচ্ছে সেগুলিকে নিয়ে তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গত মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের বিচারাধীন বিলগুলিতে সম্মতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করে শীর্ষ আদালতের এই বেনজির রায় দিয়েছে। শুক্রবার সেই রায়ের আদেশ জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে। 

তামিলনাড়ু মামলার রায় প্রদানের সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের বেঞ্চ জানিয়েছে, সংবিধানের ২০১ অনুচ্ছেদের অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপালন বিচারবিভাগের পর্যালোচনার আওতাধীন। ২০১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, যখন কোনও রাজ্যপাল যদি কোনও বিলে সই না করে রেখে দেন, তখন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করবেন যে হয় তিনি বিলটিতে সম্মতি দেবেন অথবা সম্মতি প্রত্যাহার করবেন। তবে, সংবিধানে কোনও সময়সীমার উল্লেখ নেই। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রাষ্ট্রপতির কোনও বিল আটকে রাখার ক্ষমতা নেই। হয় তাঁকে সম্মতি দিতে হবে অথবা জানাতে হবে কোথায় সংশোধন প্রয়োজন।

শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, "আইনের অধীনে কোনও ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারিত করা নেই। তার পরেও একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে প্রয়োগ করা উচিত। ২০১ অনুচ্ছেদের অধীনে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রয়োগকে আইনের এই সাধারণ নীতি থেকে মুক্ত বলা যাবে না।"

দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন মাসের বেশি বিলম্বের ক্ষেত্রে, উপযুক্ত কারণগুলি দর্শাতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে জানাতে হবে। আদালত আরও বলেছে, যদি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে রাজ্যগুলি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে।