আজকাল ওয়েবডেস্ক: রিলের 'মুন্না ভাই এমবিবিএস'-এর রিয়েল নজির এবার অসমের শিলচরে। ফলে ফের বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে অসমের স্বাস্থ্যব্যবস্থা! কাছাড় জেলার শিলচর শহরের এক হাসপাতালে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ভুয়ো চিকিৎসক। জানা গিয়েছে, ধৃত ভুয়ো চিকিৎসকের নাম পুলক মালাকার। 

ধৃত ওই ভুয়ে চিকিৎসক শ্রীভূমি জেলার বাসিন্দা। অভিযোগ, কোনওরকম বৈধ অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে শল্যচিকিৎসক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। গর্ভবতী মহিলাদের অপারেশন থেকে চিকিৎসা- সবই করতেন তিনি। সম্প্রতি এক গর্ভবতী মহিলার অস্ত্রোপচারের সময় পুলিশের জালে হাতেনাতে ধরা পড়েন অভিযুক্ত চিকিৎসক। 

এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শিলচর শহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া তিনি কীভাবে চিকিৎসক হিসেবে শহরের দু'টি হাসপাতালে যোগ দিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কাছাড় জেলা পুলিশ। ওই জাল চিকিৎসক কাদের মদতে এতদিন ধরে চাকরি করছিলেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সিনিয়র পুলিশ অফিসার নুমাল মাহাত্তা বলেন, "আমরা পুলক মালাকার সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি এবং তদন্ত শুরু করেছি। সমস্ত নথি যাচাই করার পর, আমরা দেখতে পেয়েছি যে- তাঁর সমস্ত সার্টিফিকেট জাল। তিনি একজন ভুয়া চিকিৎসক ছিলেন এবং বহু বছর ধরে ব্যবসা করছেন।"

আরও পড়ুন:  আম্বানি-আদানি-নারায়ণ মূর্তির চেয়েও বেশি, মায়ের অ্যাকাউন্টে এত টাকা! দেখেই যুবকের চক্ষুচড়ক

অসমের শ্রীভূমির বাসিন্দা পুলক মালাকারকে সোমবার স্থানীয় আদালতে হাজির করা হয় এবং পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।

অসমে ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকার এই বছরের জানুয়ারিতে একটি বিশেষ ইউনিট - অ্যান্টি-কোয়াকারি অ্যান্ড ভিজিল্যান্স সেল - গঠন করে, যা রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

এই ইউনিটটি এখন পর্যন্ত কর্মরত কোয়াক এবং ভুয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ১০টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছে।

রাজ্যের কোয়াক চিকিৎসকরা মূলত গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চলের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের গোষ্ঠীগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে।