আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ দিল্লি বিমানবন্দরের অচলাবস্থা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। যদিও পরিস্থিতি আগের থেকে ভাল হলেও পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। 


এটা ঘটনা, প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ভোগান্তির পর ধীরে ধীরে উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তবে এখনও অনেক উড়ানের ওঠানামায় দেরি বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর। ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্য বলছে, শনিবারেও ১২৯টি বিমানের ওঠানামায় দেরি হয়েছে। তার মধ্যে ৫৩টির অবতরণে এবং ৭৬টি উড়ান ছাড়তে দেরি হয়েছে। তবে শুক্রবার এই সংখ্যাটি ছিল প্রায় ৮০০। শনিবারেও এক একটি বিমানের ওঠানামায় ১৯ এবং ৫ মিনিট করে দেরি হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।


তবে গত দু’দিন ধরে যে পরিস্থিতি ছিল, তা অনেকটাই কেটে গিয়েছে বলে দাবি। যে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে দেশ জুড়ে বিমান পরিষেবায় প্রভাব পড়েছিল, তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে এখনও। মূলত অটোমেটিক মেসেজ সুইচিং সিস্টেম (এএমএসএস)–এ প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষগুলি।


দিল্লি বিমানবন্দরের তরফে এক্স হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, যে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে যে এএমএসএস ব্যবস্থাকে প্রায় অচল করে দিয়েছিল, সেই সমস্যা আপাতত মিটে গিয়েছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এএমএসএস মূলত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) ব্যবস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই) শুক্রবার জানায়, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাজ চালাতে হচ্ছে এটিসি–র কর্তাদের। শুধু দিল্লি–মুম্বই নয়, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদেও উড়ান পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে এএমএসএস পদ্ধতিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। এএআই–এর তরফে শুক্রবার রাতেই বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছিল, এএমএসএস ব্যবস্থা এখন কাজ করছে। তবে স্বয়ংক্রিয় সেই মেসেজিং ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ফলে বিমান ওঠানামায় কিছুটা দেরি হতে পারে।


জানা গেছে, শুধু দিল্লি বিমানবন্দরেই ৮০০টি বিমান ওঠানামায় দেরি হয়েছে। ফ্লাইটরাডার ২৪–এর তথ্য বলছে, শুক্রবার উড়ান পরিষেবায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে দিল্লি বিমানবন্দরে। ৮১ শতাংশ বিমান ওঠানামায় দেরি হয়েছে। গড়ে ৬২ মিনিট করে ওঠানামায় দেরি হয়েছে এক একটি বিমানের। এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের দাবি, এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত যদি এএআই সময়মতো এএমএসএস ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করত। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া–র তরফে দাবি করা হয়েছে, গত জুলাইয়েই তারা সতর্ক করেছিলেন যে, দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো বিমানবন্দরগুলিতে উড়ান পরিষেবা চালানোর যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে, তা যে কোনও দিন মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। আর সেটাই হল। যার জেরে পরিষেবা গত দু’‌দিন ধরে অচল থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।