শুধু অভিনেত্রী নন, তিনি একজন স্টাইল আইকনও। আবারও প্রমাণ করলেন দীপিকা পাড়ুকোন। সম্প্রতি গ্লোবাল লিডারশিপ সামিটে নতুন লুকে হাজির হন নায়িকা। আর তা নিয়েই এখন সরগরম ফ্যাশন দুনিয়া।
পোশাকশিল্পী হিসেবে বিশ্বজুড়ে কদর সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের। বিয়ে হোক কিংবা ফ্যাশন র্যাম্প, বলিউডের সেরা সুন্দরীরা বরাবরই তাঁর পোশাকে হয়ে ওঠেন অনবদ্য। এর আগেও সব্যসাচীর লুকে একাধিকবার ধরা দিয়েছেন দীপিকা। এবারও তিনি পরেছিলেন এই বাঙালি পোশাকশিল্পীর তৈরি পোশাক, যা শুধু ফ্যাশনের উদাহরণ নয়, ভারতীয় ঐতিহ্য ও আধুনিকতার এক অনন্য মেলবন্ধন।
সব্যসাচীর কালেকশনের পোশাকে দীপিকা হয়ে ওঠেন নিখুঁতভাবে রাজকীয়। তিনি পরেছিলেন, ইতালিয়ান ক্যাশমায়ার জ্যাকেট ও গাঢ় রঙের ভেলভেট ট্রাউজার, যার প্রতিটি সেলাইয়ে ফুটে উঠেছে সূক্ষ্ম কারুকাজ ও গ্ল্যামার। সাদা ফুলের অ্যাপ্লিকেশনে সাজানো জ্যাকেটটি একদিকে ছিল কোমলতা, অন্যদিকে প্রকাশ করেছে আত্মবিশ্বাস ও ক্ষমতার প্রতীক। দীপিকার আত্মভঙ্গি, মৃদু হাসি ও নির্ভুল পোশাক নির্বাচন মিলিয়ে এই লুককে ‘কালচারাল মোমেন্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা।
দীপিকার এই লুকের বিশেষত্ব শুধু বিলাসিতা নয়, বরং ভারতীয় নান্দনিকতার আন্তর্জাতিক উপস্থাপন। কালো রঙের প্রাধান্য, নিখুঁত কাট, আর হাতে সূক্ষ্ম কাজ-সব মিলে তৈরি হয়েছে এমন এক শিল্পকর্ম, যা দ্রুতগতির গ্লোবাল ফ্যাশনের মাঝেও ঐতিহ্যের মর্যাদা বজায় রাখে।
ফ্যাশন সমালোচকদের মতে, দীপিকার এই উপস্থিতি ভারতীয় পোশাকশিল্পের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। ভারতীয় ডিজাইন যে এখন শুধুই দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক ট্রেন্ডেরও মান নির্ধারণ করে, অভিনেত্রীর সাজে যেন তেমনটাই ধরা পড়েছে। সব্যসাচী জানিয়েছেন, এই পোশাক ডিজাইনে তাঁর লক্ষ্য ছিল ‘ঐতিহ্যকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুনভাবে উপস্থাপন করা।‘ দীপিকার মতো এক বিশ্বমানের তারকার মাধ্যমে সেই ভাবনা বাস্তব রূপ পেয়েছে। তাঁর কথায়, “দীপিকা শুধু পোশাক পরেন না, তিনি এক সংস্কৃতি বহন করেন।”
রণবীর সিং ঘরণি বরাবরই এমন পোশাক বেছে নেন যা তাঁর ব্যক্তিত্ব ও মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সাদামাটা অথচ নান্দনিক ডিজাইনে ভরসা রাখেন তিনি। তাঁর প্রতিটি উপস্থিতি যেন ভারতীয় আধুনিক নারীর শক্তি ও শালীনতার এক নতুন সংজ্ঞা দেয়। দীপিকা ও সব্যসাচীর সাম্প্রতিক যুগলবন্দি ভারতীয় সংস্কৃতি ও আধুনিকতার মেলবন্ধনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। যা ফ্যাশন দুনিয়ায় এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।
